কটক: শুক্রবার রাতে ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে লাইনচ্যুত হয়েছে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, মৃতের সংখ্যা ৩০ বা তার আশেপাশে হবে। কিন্তু রেল সূত্রে খবর, শনিবার ভোর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮৮, আহত ৬০০ জনেরও বেশি। যদিও সর্বভারতীয় এক সংবাদসংস্থার রিপোর্ট, মৃত্যু হয়েছে ২৩৩ জনের, আহতের সংখ্যা ৯০০-র বেশি, এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। তাই এই সংখ্যা যে বাড়বেই তা আলাদা করে বলতে হবে না।
সারারাত ধরে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলেছে। ট্রেনের দরজা ভেঙে ও গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। এই কাজে নেমেছে সেনাবাহিনীও। জানা গিয়েছে, খুব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছবেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব-সহ রেলের পদস্থ অফিসারেরা। ইতিমধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা থেকে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছেন ঘটনাস্থলে। সূত্রের খবর, তিনিও শনিবার ঘটনাস্থলে যেতে পারেন। যদিও এই এত বড় দুর্ঘটনা কী করে ঘটল তা নিশ্চিতভাবে এখনও বলা যাচ্ছে না। একাধিক ব্যাখ্যা সামনে উঠে আসছে।
প্রথমে জানা গিয়েছিল, মালগাড়িতে ধাক্কা দিয়ে লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেন। কিন্তু পরে আরও অন্য তথ্য উঠে এসেছে। তৃতীয় একটি ট্রেনও এই ঘটনায় ‘সামিল’ বলে খবর। জানা গিয়েছে, ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সংঘাত হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। ওই ট্রেনেরও দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। এরপর করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। তবে যাদের মৃত্যু হয়েছে এবং যারা আহত হয়েছেন তারা অধিকাংশই করমণ্ডলের যাত্রী।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”মহাকাশ গবেষণায় ফের সাফল্য ভারতের! আকাশে উড়ল ইসরোর ‘অত্যাধুনিক’ স্যাটেলাইট” width=”853″>
করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় খবরাখবরের জন্য হাওড়া স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর— ০৩৩-২৬৩৮২২১৭। খড়্গপুর স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর— ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯। বালেশ্বর স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর— ৮২৪৯৫৯১৫৫৯ এবং ৭৯৭৮৪১৮৩২২। শালিমার স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর— ৯৯০৩৩৭০৭৪৬। নবান্ন ০৩৩-২২১৪৩৫২৬/২২৫৩৫১৮৫।