bangladesh
গ্যাংটক: সপ্তাহের শুরুতে সিকিমের আবহাওয়া বেশ পরিষ্কার রয়েছে। মেঘ নেই, বরং রোদ ঝলমল করছে। সেই প্রেক্ষিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। আপাতত জানা গিয়েছে, সিকিমে ১০৫ জন নিখোঁজ। আহতের সংখ্যা ২৬। যদিও মৃত্যুর সঠিক তথ্য এখনও পর্যন্ত মেলেনি। এর সবথেকে বড় কারণ, তিস্তার জলে কতজন ভেসে গিয়েছেন তার পরিসংখ্যান স্পষ্ট হচ্ছে না। এই আবহে এও জানা গিয়েছে, সিকিম থেকে বাংলাদেশে পৌঁছে গিয়েছে অনেকের মৃতদেহ।
হড়পা বানের জেরে প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে সিকিমের একটা বড় অংশ। মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং লোনক হ্রদ ফেটে এই বিপর্যয় ঘটায় বাকি দেশের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিকিম। ১০ নং জাতীয় সড়কও বিরাটভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার কাজ চলছে। এই অবস্থায় জানা গিয়েছে, হড়পা বানে ভেসে গিয়ে অনেকেরই দেহ পশ্চিমবঙ্গ, এমনকি বাংলাদেশে পৌঁছে গিয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৮২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে, যাদের মধ্যে দুই রাজ্য মিলিয়ে ৫০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা যে বাড়বে তা আলাদা করে বলার দরকার পড়ছে না। সিকিম প্রশাসন আবার জানিয়েছে, এখনও ১৪০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
এছাড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ৮৫ হাজারের বেশি মানুষের ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই মুহূর্তে সিকিমে মোট ২৬টি ত্রাণশিবির খোলা রয়েছে। ওই ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন অন্তত ৭ হাজার মানুষ। উত্তর সিকিমের একাধিক জায়গা সহ গোটা রাজ্যের বিক্ষিপ্ত অংশ স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। তাই যাদের বুকিং ছিল সেইসব বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছে হোটেল, রিসর্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে যারা এই মুহূর্তে সিকিমে ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়েছেন তাঁদের উদ্ধারের কাজ চলছে।