লখনউ: উত্তরপ্রদেশে শিশুহত্যার আরেক নজির সামনে এল। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের উন্নাও এলাকার এক গ্রামে দুই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করা হল চাষের জমি থেকে। ওইদিনই আরেকটি নাবালিকাকে ওই এলাকা থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যার আগে ওই তিন নাবালিকা পশুখাদ্য আনতে পাশেই ক্ষেতে গিয়েছিল, কিন্তু সন্ধ্যার পরেও তারা বাড়ি না ফেরার পরিবার তরফে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। কিছুক্ষন খোঁজাখুঁজির পর দুই বোনকে কাপড় জড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায় একটি ক্ষেতে। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, ডাক্তাররা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এছাড়াও আরেক নাবালিকাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে কানপুর হাসপাতালে পাঠানো হয় স্থানীয় চিকিৎসালয় থেকে।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, দুই নাবালিকার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং ৬ জনের একটি বিশেষ দল এবং ‘ডগ স্কোয়াড’ পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য। পাশাপাশি চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, শরীরে বিষক্রিয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে দুই নাবালিকার। কানপুর পুলিশ সুপার আনন্দ কুলকার্নী এই ঘটনার ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসা বিষয়ের ভিত্তিতে জানিয়েছেন, দুটি মৃতদেহের পাশে অনেকটা পরিমানে ‘ফোম’ অর্থাৎ ফেনা পাওয়া গেছে এবং তার অনুমান পারিবারিক শত্রুতা থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে; যদিও দুই মৃতার পরিবার তরফে পারিবারিক শত্রুতার প্রসঙ্গকে খারিজ করে বলা হয়েছে যে তাদের সেরকম কোনো পারিবারিক শত্রুতা নেই।
এই ঘটনার ফলে উন্নাও এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মৃত নাবালিকাদের পরিবারের তরফে এই বিষয়ে কেউ কিছু মুখ না খুললেও পুলিশ সুপার আনন্দ কুলকার্নী জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এই খুনের ঘটনার প্রেক্ষিতে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে।