আজ বিকেল: যোগীর রাজ্যে ফের গণধর্ষণ, এবার নির্যাতনের পর কিশোরীকে পুড়িয়ে মারল অভিযুক্তরা। নির্যাতিতা কিশোরী ইটভাটায় কাজ করত, নারকীয় অত্যাচর চালিয়েছে ইটভাটার মালিক ও কয়েকজন কর্মী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগর। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, ধর্ষণের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে ঘটনার দায় এড়াতে চাইছে পুলিশ।
স্থানীয় ও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মেয়েটির দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় শুক্রবার রাতে। শনিবার সকালে কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। তাঁদের দাবি, সব শুনেও পুলিশ এফআইআর করতে চায়নি। বরং ধর্ষণের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে নানা ভাবে। পুলিশের দাবি, ইট ভাটায় কোনও কারণে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরীর। পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা।
মুজফ্ফরনগরের যে ইটভাটায় কিশোরী কাজ করত, তার পাশেই একটি ঝুপড়িতে মা, বাবার সঙ্গে থাকত সে। কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, এর আগে তার মেয়েকে নানা ভাবে হুমকি দিয়েছে ওই ইট ভাটার মালিক। ঘটনার দিন তিনি ও তাঁর স্ত্রী কেউই বাড়ি ছিলেন না। ওষুধ কিনতে পাশের গ্রামে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগেই তাঁর মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। বাড়ি ফেরার পথে তিনি খবর পান, তাঁর মেয়ের পোড়া দেহ উদ্ধার হয়েছে ইটভাটার পাশেই। কোতোয়ালি থানার স্টেশন হাউস অফিসার অনিল কাপেরভান জানিয়েছেন, ধর্ষণ করেই মেয়েটিকে খুন করা হয়েছে কি না সেই বিষয়টা এখনও নিশ্চিত নয়। ময়নাতন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, অগ্নিদগ্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে মেয়েটির। তবে কিশোরীর পায়ে একটা গভীর ক্ষত ছিল। মনে করা হচ্ছে, দড়ি বা ওই জাতীয় কিছু দিয়ে খুব শক্ত করে মেয়েটির দু’পা বেঁধে রাখা হয়েছিল।