নয়াদিল্লি: দেশের করোনা সংক্রমণ আপাতত স্বস্তি দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টার দৈনিক সংক্রমণ তুলনামুলক বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের নিচে রয়েছে। উৎসব মরশুমে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা ছিল, কিন্তু আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। যদিও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে হলেও অনুমান, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতন হয়েই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। ইতিমধ্যে দেশের টিকাকরণ ১০০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে যা আলাদা প্রাপ্তি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৪৫৪ জন। একই সময় ১৭ হাজার ৫৬১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৬০ জনের। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪১ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৫০ জন। মোট সুস্থতার সংখ্যা ৩ কোটি ৩৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৮০৮ জন। এতদিনে মোট প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৪ লক্ষ ৫২ হাজার ৮১১ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৩১ জন। সংক্রমণের হার রয়েছে ৫.৭৩ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় এই হার ছিল ১.৪৮ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, গত জুন মাস পর্যন্ত মাত্র ২৫ কোটি টিকাকরণ হয়েছিল দেশে। তার পর থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে টিকাকরণের গতি। অগাস্ট মাসে তা দাঁড়ায় ৫০ কোটি, সেপ্টেম্বরে ৭৫ কোটি। আর অক্টোবরেই তা ছুঁয়ে ফেলল ১০০ কোটির গণ্ডি। মাত্র ২৭৯ দিনে টিকাকরণে ১০০ কোটির মাইলফলক পার করেছে ভারতবর্ষ৷ আপাতত বিশ্বের আর কোনও দেশ এই নজির গড়তে পারেনি৷ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের প্রথম ১০ কোটি টিকাকরণ হতে সময় নিয়েছিল ৮৫ দিন। যা সর্বোচ্চ। আর সবথেকে কম সময়ে ১০ কোটি টিকাকরণ হয়েছে ১১ দিনে! রাজ্যভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সবথেকে এগিয়ে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, সেখানে আপাতত টিকাকরণ হয়েছে ১২.২১ কোটি। তারপর রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আপাতত হয়েছে ৯.৩২ কোটি টিকাকরণ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। সেখানে এই মুহূর্ত পর্যন্ত টিকাকরণ হয়েছে ৬.৮৫ কোটি।