বাবা দর্জি, অভাবের সংসারে মেধাবী ছেলের বড় সাফল্য

আজ বিকেল: মানুষ চাইলে কি না হয়। শুধু চাইতে হবে আর চাওয়ার লক্ষ্যকে স্থির করে এগিয়ে যেতে হবে তাহলে স্বপ্ন পূরণ হওয়া শুধু সময়ের কালক্ষেপ মাত্র। সেটাই করে দেখালেন মহারাষ্ট্রের কোটার বাসিন্দা সাদাব হুসেন। অভাবের তাড়নাকেই পাথেয় করে জিতে নিলেন ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। যাঁর পূর্বপুরুষের কেউই পেরোননি স্কুলের গণ্ডী আর সেই সাদাব হয়ে গেলেন মেধাবী চাটার্ড

বাবা দর্জি, অভাবের সংসারে মেধাবী ছেলের বড় সাফল্য

আজ বিকেল: মানুষ চাইলে কি না হয়। শুধু চাইতে হবে আর চাওয়ার লক্ষ্যকে স্থির করে এগিয়ে যেতে হবে তাহলে স্বপ্ন পূরণ হওয়া শুধু সময়ের কালক্ষেপ মাত্র। সেটাই করে দেখালেন মহারাষ্ট্রের কোটার বাসিন্দা সাদাব হুসেন। অভাবের তাড়নাকেই পাথেয় করে জিতে নিলেন ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। যাঁর পূর্বপুরুষের কেউই পেরোননি স্কুলের গণ্ডী আর সেই সাদাব হয়ে গেলেন মেধাবী চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট।

সাদাবের পরিবারের নিত্যসঙ্গী ছিল অভাব।তাঁর মা মেয়েবেলাতেই স্কুলছুট, পেটের টানে আর পড়া হয়নি। তারপর দর্জির সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল। কিছুদিনের মধ্যেই কোল আলো করে জন্ম নিল সাদাব। আরে দিন আনি দিন খাইয়ের সংসারে পেটই ভরে না, তাতে পড়াশোনা তো বিলাসিতার নাম। তবুও সাদাব স্বপ্ন দেখতে শুরু করে, তিনজনে পেটভরে খাবে। সেই স্বপ্ন সফল করতেই মাটি কামড়ে পড়ে থাকা, আর পড়াশোনা। খালি পেটেও নতুন কিছু শেখার ইচ্ছে তাঁর থেকেই যেত। সেই ইচ্ছে থেকেই চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখার শুরু।

বাবা-মা ছেলের একাগ্রতা দেখে অবাক হতেন, আর আড়ালে চোখের জল ফেলতেন, ভাল কিছু খেতে দেওয়ার ক্ষমতা তাঁদের নেই, কিন্তু ছেলের তাতে কিছু যায় আসে না। নুন ভাত খেয়েই সে পড়াশোনায় মন বসাতে পারে। বাবা-মাও হাল ছাড়েননি, তাঁদের আশীর্বাদ, আর ছেলের অধ্যাবসায়ই সাদাবকে তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে। আজ তিনি একজন সিএ। লক্ষ্যে পৌঁছে তাঁর একটাই বক্তব্য বৃদ্ধ বাবা-মাকে অন্তত খাওয়াতে পারব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + 7 =