তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়! ২-১ দিনেই তাণ্ডব চালাবে বৃষ্টি, একাধিক জায়গায় প্রভাব

নয়াদিল্লি: পঞ্চমীর দিনেও বাঙালির মনে ১০০ শতাংশ শান্তি নেই। কারণ আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। এমনিতে নবমী-দশমীতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে হাওয়া অফিস। কিন্তু তার আগেই চরম বৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হল। কারণ ইতিমধ্যেই তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় 'তেজ'! তাহলে কি পুজোতে ভাসাবে বৃষ্টি? একদমই না। আসলে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বঙ্গে পড়বে না। তাই বাঙালির চিন্তা নেই।
দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২ দিনে তৈরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে ঘূর্ণিঝড়ের। সেটা হলে মুম্বই, পুণ সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে প্রভাব পড়তে পারে। তার জেরে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হতে পারে ওইসব এলাকায়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, দক্ষিণপূর্ব ও পূর্ব মধ্য আরব সাগরে একটি লো প্রসার জোন তৈরি হচ্ছে। এর কারণে আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই। তেমনটা হলে শনিবার থেকেই মুম্বই, পুণে, ও কোঙ্কন এলাকায় ঝড়ের গতি হতে পারে ১২০ কিমি পর্যন্ত। সঙ্গে চলবে লাগাতার বৃষ্টি। অর্থাৎ বাংলায় যে সময়ে সপ্তমী, অষ্টমী, সেই সময়ে এইসব জায়গায় দুর্যোগ।
হাওয়া অফিস ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে অন্য একটি নিম্নচাপ। যার ধাক্কায় পুজোর শেষ লগ্নে বৃষ্টি নামতে পারে বাংলার একাধিক জেলায়। বে পুজোর সময় বাকি দিনগুলি আবহাওয়া ভাল থাকবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাদের পূর্বাভাস, নবমীর দিন কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ। দশমীতে এই জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৭০-৮০ শতাংশ। আর দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৩০-৪০ শতাংশ।
তবে বৃষ্টির মতিগতি সম্পূর্ণভাবেই নির্ভর করছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি নয়া নিম্নচাপের ওপর। সেটি যদি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে বিপদের আশঙ্কার বাড়বে। গত বছর অক্টোবর মাসে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছিল ‘সিত্রাং’৷ যা আঘাত হেনেছিল মায়ানমারের ওপরে। এদিকে গত বছর আরব সাগরে কোনও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু এবার সেখান থেকেও চরম বার্তা আসছে।