নয়াদিল্লি: রবিবারের মধ্যে আরব সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে বলে আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। এবার জানানো হলো যে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সেই ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী আকার ধারণ করবে! মনে করা হচ্ছে, এই সময় এই ঘূর্ণিঝড় মারাত্মক শক্তিশালী হয়ে যাবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই গুজরাত সহ একাধিক রাজ্যকে পুনরায় সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে যে, আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয় নিয়ে একটি রিভিউ মিটিং করবেন।
এর জেরে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, কেরল এবং গুজরাতে ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টি শুরুও হয়ে গিয়েছে। লাক্ষাদ্বীপ-সহ কিছু এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তওকতের কারণে শুক্রবারই লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে কেরলের পাঁচ জেলায়। রবিবার বা সোমবার ভারতের দক্ষিণ উপকূলে তওকতের আছড়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে। কেরলে শনিবার থেকে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, কোঙ্কন উপকূলে আছড়ে পড়তে চলা তওকতের প্রভাবে মুম্বই, গোয়া, এবং গুজরাটে ভাল প্রভাব পড়বে। আগামী ৫ থেকে ৬ দিন উপকূলবর্তী এই রাজ্যগুলিতে ঝড়ো হাওয়া বইবে বলে জানান হয়েছে। এদিকে জায়গা বিশেষে এই ঝড়ের গতি ৪০ থেকে ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে রাজ্যগুলিতে। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং রাজ্যের প্রশাসনকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকার গুলিকে সব রকম ভাবে সাহায্য করবে সেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যেই আরব সাগরে নামতে বারণ করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। এদিকে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ, বিমান, হেলিকপ্টার, ছোট নৌকা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি রাখা হয়েছে।