নয়াদিল্লি: এখনও পর্যন্ত মারাত্মক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়নি ‘মোকা’, কিন্তু তা হতে বেশি সময় লাগবে না বলেই আভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার রাত থেকে আরও শক্তি বাড়িয়ে শনিবার সমুদ্রের ওপরেই থাকবে এই ঘূর্ণিঝড়। জানা যাচ্ছে, সমুদ্রে থাকাকালীন এই ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ২১০ কিমি! তাহলে স্থলভাগে কতটা ভয়ানক রূপ দেখাবে এই ঘূর্ণিঝড়, তা নিয়েই চিন্তা।
আগামী ১৪ তারিখ বা রবিবার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার কথা রয়েছে ‘মোকা’র। তবে হাওয়া অফিসের আশ্বাস, সেই সময়ে কোনও ভাবেই তার গতিবেগ এত বেশি হবে না। যদিও যে হারে আছড়ে পড়বে সেটাও কম কিছু নয়। আপাতত যা ইঙ্গিত তাতে স্থলভাগে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবেই আছড়ে পড়বে এটি এবং সেই সময়ে তার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি। তাই আগামী রবিবার পর্যন্ত উপকূল অঞ্চলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র উল্টো প্রভাব রাজ্যে! দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি!বইবে লু!” width=”853″>
আপাতত যা ইঙ্গিত মিলছে তাতে শনিবার পর্যন্ত সমুদ্রেই থাকবে ‘মোকা’। রবিবার দুপুরে বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মায়ানমারের কায়াকপুরের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে সেটি। তবে স্থলভাগে প্রবেশের পর খানিকটা শক্তিক্ষয় হবে ঘূর্ণিঝড়ের। এদিকে বঙ্গবসীর জন্য স্বস্তির খবর যে, বাংলার জন্য তেমন কোনও সতর্কতা জারি করা হচ্ছে না। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রায় রহাই পেয়েছেই বলা যায়। কিন্তু আগামী ২-৩ দিন রাজ্যের একাধিক জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে।