কলকাতা: কতটা প্রভাব ফেলবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’, এই প্রশ্নের উত্তর এক লহমায় জানতে চাইছে সকলে। অনেকের ধারণা আমফানের মতো বিধ্বংসী হবে সেটি কিন্তু এখনও তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে তার গতিবেগ সম্পর্কে যেটুকু তথ্য জানা গিয়েছে তাতে খুব গতিতে আসছে না ‘মোকা’। হাওয়া অফিসের তরফে খবর, স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় মোকার গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার। তবে বাংলার তার প্রভাব কতটা তার নিশ্চয়তা এখনও পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ১৪ মে, রবিবার দুপুরে কক্সবাজার এবং মায়ানমারের কাউকপুর মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। শুক্রবার ভোরে ‘মোকা’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং ক্রমে গতি পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তার। দুপুরেই দিল্লির মৌসম ভবন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ৬ ঘণ্টা ধরে ‘মোকা’র গতিবেগ ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার ছিল। এদিকে শুক্রবার থেকেই থেকেই আন্দামানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আপাতত আন্দামানের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৫১০ কিলোমিটার পশ্চিমে ছিল ঘূর্ণিঝড়টি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ নিয়ে বড় আপডেট! ‘প্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়ার আশঙ্কা! কতটা প্রভাব পড়বে রাজ্যে?” width=”853″>
হাওয়া মহল এও জানিয়েছে, বাংলাদেশ বা মায়ানমার শুধু নয় উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং মিজোরামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে শনিবার থেকেই। সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এই অবস্থায় ‘মোকা’র গতিবিধির কোনদিকে থাকছে সেদিকে নজরদারি চলছে।