দু'দশকের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়! 'মোকা' নিয়ে বড় দাবি

নয়াদিল্লি: 'মোকা'র তাণ্ডবে ইতিমধ্যেই মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে বাংলাদেশেও৷ কক্সবাজার এবং সিতওয়ে উপকূল তছনছ হয়েছে। অনেক আগে থেকে এই ঘূর্ণিঝড়কে 'আমফান'-এর সঙ্গে তুলনা করা চলছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছিল এটি তার থেকেও বিধ্বংসী হবে। এখন এটির ল্যান্ডফল হওয়ার পর কার্যত সেটাই মনে করছে আবহবিদরা। বলা হচ্ছে, 'মোকা' দু'দশকের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
সমুদ্রে থাকাকালীন এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল প্রায় ২১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। কিন্তু উপকুলবর্তী অঞ্চলে ল্যান্ডফল হওয়ার সময়ে তার গতি কমে সর্বোচ্চ ১৭৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা গিয়ে ঠেকে। স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়, এই গতিবেগ কোনও অংশে কম নয়। আর তাই 'মোকা'র ভয়াবহতার সাক্ষী থাকল বাংলাদেশ ও মায়ানমার। ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হওয়ার পর প্রবল বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার বেগে বইতে শুরু করে ঝোড়ো হাওয়া। ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও খবর৷ হাওয়া অফিস ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ঝড়ের গতিবেগ যতটা থাকলে তাকে অতি তীব্র বলে চিহ্নিত করা হয়, 'মোকা'র গতিবেগ তার চেয়েও বেশি ছিল।
এর আগে যে কটা ঘূর্ণিঝড় এসেছে যেমন আমফান, ফণী, যশ, তাদের থেকে ধারে-ভারে এই ঝড়ের প্রবলতা অনেক বেশি বলেই নিশ্চিত হয়েছে আওহাওয়া দফতর। কিন্তু একে এখনও পর্যন্ত 'সুপার সাইক্লোন' বলা যাচ্ছে না। কারণ ঝড়ের তীব্রতা কতক্ষণ স্থায়ী ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। বিস্তারিত রিপোর্ট আসার পর বিষয়টি নিশ্চিতভাবে বলা যাবে বলে জানান হয়েছে।