নয়াদিল্লি: চলতি বছরে ইতিমধ্যেই দুটি ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হয়েছে দেশবাসী। প্রথমে আমফান, যা কার্যত তছনছ করে দিয়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাকে। অপরটি নিসর্গ, যা আছড়ে পড়েছিল মুম্বইয়ে। এবার বছরের তৃতীয় সাইক্লোন নিয়ে চূড়ান্ত সর্তকতা জারি করল ইন্ডিয়া মেটেওরোলগিকাল ডিপার্টমেন্ট বা আইএমডি। জানানো হয়েছে, আজ বা কাল দুপুরের মধ্যেই দক্ষিণ ভারতের উপকূলবর্তী একাধিক রাজ্যে আছড়ে পড়তে পারে ‘গতি’।
আইএমডি-র পূর্বাভাস, ২৫ নভেম্বরের মধ্যেই দক্ষিণ ভারতের একাধিক উপকূলবর্তী রাজ্যে আছড়ে পড়বে নতুন সাইক্লোন গতি। ইতিমধ্যেই প্রবল শক্তি বাড়িয়ে সাগরের ফুঁসছে চলতি বছরের তৃতীয় সাইক্লোন। এর জেরে, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক তেলেঙ্গানা সহ একাধিক রাজ্যে। সাইক্লোনের কবল থেকে বাদ যাবে না তামিলনাড়ু, পুডুচেরিও। অনুমান করা হচ্ছে এই সাইক্লোন এর কারণে কমপক্ষে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে বিভিন্ন রাজ্যে। ২৫ নভেম্বরের মধ্যে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা থাকলেও গতির প্রভাব থাকবে আগামী তিন-চার দিন ধরে। তবে গতি ভারতের দিকে না এসে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকায় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যেতে তৎপর হয়েছে নির্দিষ্ট রাজ্যের প্রশাসনগুলি। অন্যদিকে মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০-১৬০ কিলোমিটার। তবে শুধু এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আশঙ্কা করা হচ্ছে না, কারণের পাশাপাশি আরব সাগরেও অন্য একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও সেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ভারতে না পড়লেও, গতির প্রভাবে দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেই আশঙ্কা। আজ অর্থাৎ সোমবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে এই সমস্ত রাজ্যে। ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে শ্রীলঙ্কা উপকূলে সৃষ্টি নিম্নচাপ শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাব পড়বে উত্তর ভারতে।