Aajbikel

ফের ফুঁসছে সাগর! বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রূকুটি, আসছে সাইক্লোন ‘বিপর্যয়’

 | 
ঘূর্ণিঝড়

কলকাতা:  দিন কয়েক আগেই বাংলাদেশ ও মায়ানমারে তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় মোকা৷ ধূর্ণিঝড়ের ছোবলে লন্ডভন্ড হয়েছে দুই দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল৷ ফের ফুঁসছে বঙ্গোপসাগর৷ তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা। ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্ট ইতিমধ্যেই তাদের ওয়েদার অ্যালার্টে বঙ্গোপসাগরে সাইক্লোন তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে! ফলে বর্ষা ঢোকার আগেই বঙ্গোপসাগরে ঘনাবে নতুন ঘূর্ণিঝড়৷ পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৩ জুন মায়ানমারের অন্যতম বড় শহর ইয়াঙ্গনের কাছে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। এরপর ক্রমশ সেটি উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ৮ জুন পৌঁছবে উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে।


এদিকে প্রায় একই সময়ে আরব সাগরেও একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বলে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা৷ আগামী ৬ এবং ৭ জুন আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। সেই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে মৌসুমী বায়ু অগ্রসর হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এই সিস্টেম। যদিও এখনই এ বিষয়ে পূর্বাভাস দিতে নারাজ মৌসম ভবন৷ তবে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের তালিকা অনুসারে যে ঝড়টি আগে তৈরি হবে তার নাম হবে ‘বিপর্যয়’, অন্যটির নাম হবে 'গতি'। মনে করা হচ্ছে বঙ্গোগসারগরেই আগে ঘূর্ণিঝড় ঘানিবে৷ সেক্ষেত্রে  ‘বিপর্যয়ের’ হাত ধরে ফের একবার বিপদের মুখে পড়তে পারে ভারত ও বাংলাদেশ৷ ‘বিপর্যয়’ নামটি দিয়েছে ওপাড় বাংলা৷


রাজ্যে বর্ষা আসতে এখনও দিন পনেরো বাকি৷ তার আগে ‘বিপর্যয়’-এর পদধ্বনিতে সিঁদুরে মেঘ৷ এই ঘূর্ণিঝড়ের হাত ধরে সময়ের আগেই বঙ্গে ঢুকে পড়তে পারে বর্ষা৷  জুনের গোড়াতেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে নিজেদের ওয়েদার অ্যালার্টে জানিয়েছ ইউরোপিয়ান সংস্থা৷ বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের ওপর যে তাপমাত্রা রয়েছে, তার নিরিখে হিসাব কষেই সতর্ক করেছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, আগামী ৩ জুন মায়নমারের ইয়াঙ্গনের কাছে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে৷ তার পর বঙ্গোপসাগরের ওপরেই শক্তিবৃদ্ধি করে তা প্রবল সাইক্লোনের আকার নেবে৷


প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ঝড়ের অভিমুখ থাকবে বাংলাদেশের দিকে৷ পরে যদি দিক বদল হয় তাহলে ‘বিপর্যয়’ তাণ্ডব চালাতে পারে পশ্চিমবঙ্গের উপরেও৷  ইউরোপীয় আবহাওয়া সংস্থার পূর্বাভাস, এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা উপকূলের দিকেও ধেয়ে যেতে পারে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুসারে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। তবে বঙ্গোপসাগর ও আরবসাগরে সৃষ্ট সাইক্লোনের গতি-প্রকৃতি ও তীব্রতা আরও অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে৷ ফলে এখনই কী হবে তা নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না৷ 


বেসরকারি ওয়েদার আপডেট সংস্থা ওয়েদার আল্টিমার পক্ষ থেকে সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা প্রবল৷ তবে  চূড়ান্ত গতি পথ নিয়ে কোনও রূপরেখা দেননি৷ 

Around The Web

Trending News

You May like