‘দাড়ি কাটা মেয়েদের কাজ নয়’, নীরবতা ভাঙলেন দুই বোন

এই কাজটা মেয়েদের জন্য নয়, মেয়ে হয়ে এইসব করার কোনো অধিকার নেই, মেয়েদের এটা করতে নেই, ওটা করতে নেই শুনতে শুনতে আজ ক্লান্ত সব মেয়েরা। পুরুষ শাসিত সমাজের বুকে দাঁড়িয়ে এই লিঙ্গবৈষম্যের মাঝে মেয়েরা আজ ক্লান্ত। কিন্তু এই বাঁধাধরা ভাবনা চিন্তার বেড়া মুক্ত করে আজকের মেয়েরা নিজের একটা আলাদা জগৎ গড়ে তুলছে। মেয়েরা আজ বেছে

9dddc30c087e006337b2029871580672

‘দাড়ি কাটা মেয়েদের কাজ নয়’, নীরবতা ভাঙলেন দুই বোন

এই কাজটা মেয়েদের জন্য নয়, মেয়ে হয়ে এইসব করার কোনো অধিকার নেই, মেয়েদের এটা করতে নেই, ওটা করতে নেই শুনতে শুনতে আজ ক্লান্ত সব মেয়েরা। পুরুষ শাসিত সমাজের বুকে দাঁড়িয়ে এই লিঙ্গবৈষম্যের মাঝে মেয়েরা আজ ক্লান্ত। কিন্তু এই বাঁধাধরা ভাবনা চিন্তার বেড়া মুক্ত করে আজকের মেয়েরা নিজের একটা আলাদা জগৎ গড়ে তুলছে। মেয়েরা আজ বেছে নিচ্ছে নিজেদের রোজগারের পথ।

কারোর উপর নির্ভর করে সারাজীবন কাটিয়ে দেওয়ার মতো মানসিকতার জাল মুক্ত আজকের মেয়েদের চিন্তা ভাবনা। এই বদলের হাওয়া বয়েছে শুধু শহরেই নয়, দৌড়ে পিছিয়ে নেই উত্তরপ্রদেশের বানওয়ারি তোলা গ্রামও। এই গ্রামের দুই মেয়ে নেহা ও জ্যোতি। তাঁরা করেন এমন একটি কাজ যা করার কথা কেউ মুখে আনা তো দূরের কথা, কেউ ভাবেও না। ২০১৪ সালে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ার পর নেহা ও জ্যোতি তাদের বাবার সেলুনের দোকান চালানোর দায়িত্ব নিজেদের ঘাড়ে তুলে নেন। পুরুষদের আধিপত্যের এই একটি পেশাতে যাওয়ার জন্য তারা প্রথমে তাঁরা কাজ করতেন ছেলেদের ছদ্মবেশেই।

শুধু ছেলে সেজেই নয়, নামও বদলে রেখেছিলেন ছেলেদের নামেই। তারপর, সেলুন চালিয়ে বাবার চিকিৎসা আর নিজেদের পড়াশোনা দুই চালিয়েছে এই দুই বোন। তাঁদের এই রূপকথার গল্পে এবং তাঁদের যুদ্ধে অনুপ্রাণিত হয়ে এক নামী বিজ্ঞাপন সংস্থা বিজ্ঞাপনও তৈরি করেছেন। বিজ্ঞাপনে নেহা ও জ্যোতির গল্প শুনে চমকে গেছে দেশ।

তাদের গল্প শুনে শচীন টেন্ডুলকর ছুটে গেছেন তাদের সেলুনে এবং শুধু তাই নয় তিনি দাড়িও কেটেছেন। শুক্রবার ইন্সটাগ্রামে নেহা এবং জ্যোতির সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন তিনি। পোস্ট করার সময় তিনি এটাও জানিয়েছেন, এর আগে এমন অভিজ্ঞতা তাঁর কখনও হয়নি! বিজ্ঞাপনটিতে বলা হয়েছে একটি খুব দামী বার্তা। বলা হয়েছে, “যে ব্লেডটি শেভ করে, সে তো জানে না যে তাকে মেয়ে ব্যবহার করছে নাকি ছেলে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *