বালেশ্বর: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার অনেকদিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এটাই স্পষ্ট নয় যে দুর্ঘটনা ঘটল কী ভাবে। সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর পাঁচ জনকে আটক করেছিল। এদিকে এমনও খবর ছড়িয়েছিল যে, বালেশ্বরের সোরো সেকশনের রেলের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। একের পর এক এমন খবর মানুষকে আরও বেশি বিভ্রান্ত করছিল। তবে শেষমেষ দুর্ঘটনা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিল রেল সুরক্ষা কমিশনার। রিপোর্ট অনুযায়ী, মূলত রিলে রুমের দায়িত্বে থাকা কিছু কর্মীদের ত্রুটি ছিল।
কয়েক দিন আগেই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে একটি রিপোর্ট জমা দিল কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল সিগন্যালিং এবং টেলিকমিউনিকেশন দফতরের কিছু গলদের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সম্প্রতি যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতেও মোটামুটি এমনই বলা হয়েছে। তবে কোনও ব্যক্তি ইচ্ছে করে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, সেটা পরিষ্কার হচ্ছে না এখনও। রিপোর্টেও তেমন কিছু বলা হয়নি এই বিষয়ে। তাই ধন্দ যে একটা রয়েই গিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। যদিও এই বিষয়টি নিয়েই তদন্ত করছে সিবিআই। এবার অপেক্ষা তারা তাঁদের রিপোর্টে কী জানায়। সেই কারণেই সিআরএস-এর রিপোর্টটি বিস্তারিতভাবে জনসমক্ষে প্রকাশ করবে না রেল। রিপোর্ট যাতে সিবিআই তদন্তকে কোনও ভাবে প্রভাবিত না করে, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।
তবে দুর্ঘটনার পর থেকেই ইন্টারলকিং সিস্টেম নিয়ে প্যানেল রুমে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের ভূমিকা ঘিরে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। লেভেল ক্রসিংয়ের কাজ ঘিরে সংশ্লিষ্ট গেট ম্যানের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই মোট পাঁচ রেল কর্মীকে আটক করেছিল সিবিআই।