নয়াদিল্লি: দেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে এবার নয়া উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ করোনা পরিস্থিতিতে প্রাইম মিনিস্টার এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রামের (পিএমইজিপি) অধীনে প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত করতে আর জেলা স্তরের টাস্ক ফোর্সের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না বলেই জানাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রক৷
পিএমইজিপি-র অধীনে উৎপাদন প্রকপ্লের জন্য এতদিন ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হত৷ ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হত ব্যবসাক্ষেত্রে৷ খাদি এবং গ্রামীন শিল্প কমিশন (কেভিআইসি) এই প্রকল্পগুলির ব্যয়ের উপর ১৫ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেয়৷ প্রস্তাবিত প্রকল্পের স্থানের উপর ভিত্তি করে এই ভর্তুকি দেওয়া হয়ে থাকে৷ এতদিন পর্যন্ত জেলা কালেক্টরের নেতৃত্বাধীন ডিসট্রিক্ট লেভেল টাস্ক ফোর্স প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলি খতিয়ে দেখার পরই মিলত অনুমোদন৷ কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে প্রশাসনের দায়দায়িত্ব বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে৷ তাই প্রকল্পগুলি অনুমোদন পেতে অস্বাভাবিক দেরি হচ্ছে৷
কেভিআইসি-র চেয়ারম্যান বিনয় কুমার সাক্সেনা প্রথম বিষয়টি কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রী নীতিন গডকড়ির নজরে আনেন৷ তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ৷ অগ্রাধিকারের সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে৷ চলতি সপ্তাহ থেকে এই বিষয়টি সরলীকরণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ সংশোধিত নিয়ম অনুযায়ী, প্রকল্পগুলিতে সরাসরি অনুমোদন দেবে কেভিআইসি৷ উদ্যোক্তাদের লোন দেওয়া হবে কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ব্যাংক৷
কেন্দ্রের আশাবাদী, এই নয়া পদক্ষেপের ফলে আটকে থাকা একাধিক প্রকল্পে ছাড় মিলবে৷ প্রকল্পের কাজ শুরু হলে দেশে কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রেও গতি আসবে৷ প্রকল্পগুলিও দ্রুত বাস্তবায়িত হবে৷ জেলা টাস্ক ফোর্স স্তরে পড়ে থাকা প্রতিটি পিএমইজিপি আবেদনপত্র সরাসরি ব্যাংকে ফরওয়ার্ড করার নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক৷