নয়াদিল্লি: গোটা দেশে সিপিএম লড়ছে মাত্র ৭১টি আসনে। কিন্তু তার মধ্যে জিতবে কটা আসনে? ফলাফল ঘোষণার পর আদৌ কি জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব থাকবে দলের? নতুন সরকারে দলীয় অবস্থান কী হবে? দলের অন্দরে আপাতত এই প্রশ্নেই ব্যতিব্যস্ত সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
আর তাই পরিস্থিতির বিশ্লেষণের জন্য আগামী ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই দিল্লিতে দু’দিনব্যাপী জরুরি পলিটব্যুরো বৈঠকের ডাক দিয়েছে সিপিএম। আগামী ২৬ এবং ২৭ মে ওই বৈঠক হবে।
সংগঠনের অভাব রয়েছে। এবং সেই কারণে এবারের লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশে ৭১টির বেশি আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি সিপিএম। এগুলির মধ্যে একমাত্র কেরল ছাড়া অন্য কোনও রাজ্য নিয়ে সেভাবে আশাবাদীও নন সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতারা। ত্রিপুরার দুটো লোকসভা আসনই এবার তাঁদের হাতছাড়া হবে বলে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দলের নেতৃত্ব।
একই পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গেও। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার যে দু’টি আসনে জয় পেয়েছিল সিপিএম, সেই রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদই তাঁরা এবার ধরে রাখতে পারবেন কি না, তা নিয়ে দলের নেতাদের একাংশই রীতিমতো সন্দিহান।