চলছে রিগিং, আক্রান্ত বিরোধী এজেন্ট, বিপ্লব দেবকে তুলোধোনা করে থানা ঘেরাও বামেদের

চলছে রিগিং, আক্রান্ত বিরোধী এজেন্ট, বিপ্লব দেবকে তুলোধোনা করে থানা ঘেরাও বামেদের

কলকাতা:  পুরভোটে উত্তপ্ত আগরতলা৷ পশ্চিম  থানা ঘেরাও করল সিপিএম কর্মীরা। ত্রিপুরা সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী ও  বাম নেতা পবিত্র কর জানান, আগরতলা পুর ও নগর নিগম ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে না৷ ছাপ্পা ভোট চলছে৷ বিভিন্ন কেন্দ্রে বিরোধী দলের প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের মারধর করা হচ্ছে। বিজেপি’র সন্ত্রাসে ত্রিপুরার মানুষ ভোট দিতে যেতে পারছে না। 

আরও পড়ুন- গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে! ত্রিপুরা নিয়ে সরব ফিরহাদ

ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসন অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ না করলে সিপিএম আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা। নতুন করে শান্তিপূর্ণভাবে আগরতলা পুর ও নগর নিগম ভোট করার জন্যেও ত্রিপুরা প্রশাসন ও ত্রিপুরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে দাবি জানান বাম নেতারা৷

বাম নেতা জিতেন্দ্র কর বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন, ত্রিপুরা সরকার এবং ভারতীয় জনতা পার্টি মিলে দিনে দুপুরে ত্রিপুরায় অমাবস্যা নামিয়ে এনেছে৷ বিজেপি সরকার আসার পর গত ৪৪ মাস ধরে ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই৷ সংবিধান অচল৷ সুপ্রিম কোর্ট-হাইকোর্টের নির্দেশিকার পরেও ত্রিপুরা প্রশাসন ও ত্রিপুরা সরকারের টনক নড়েনি৷ একটি রাজ্যকে ল্যাবরেটরি করে ফেসিজম কায়েম করার চেষ্টা চলছে৷ সেটা হল ত্রিপুরা৷ পুলিশ নীরব৷ সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর আর্জি, বুথে বুথে গিয়ে ভিডিয়ো করুন৷ দেখুন কেন মানুষ ভোট দিতে আসতে পারছে না। কেন বিরোধীদের এজেন্ট নেই। সুপ্রিম কোর্ট মিডিয়াকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে৷ ’’ 

তাঁর কথায়, ‘‘ত্রিপুরায় রিগিং-এর মাস্টার মাইন্ড হলেন রতন লাল নাথ৷ আর তাঁর নেতা হলেন, বিপ্লব দেব৷ রাস্তায় গুণ্ডা নামিয়ে রিগিং করাচ্ছে৷ ওঁরা আবার বলছে শান্তিতে ভোট হচ্ছে৷ ওঁদের লজ্জা হওয়া উচিত৷ ’’

অন্যদিকে পবিত্র কর বলেন, ‘‘আমাদের প্রার্থীরাই ভোট দিতে পারেনি৷ তাঁরা বুথে যেতে পারেননি৷ কোনও এজেন্ট বসতে পারেনি৷ পুলিশের ডিজি, আইজি-কে জানিয়েছি৷ এমন কোনও অবজার্ভার বা পুলিশ অফিসার নেই যাঁদের আমরা ফোন করিনি৷ এখানে ভোট প্রহসন চলছে৷ পুলিশ হাতের পুতুলের চেয়েও খারাপ হয়ে গিয়েছে৷’’  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + 16 =