অযোধ্যা রায়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলল সিপিএম, তুঙ্গে চর্চা

কলকাতা: অযোধ্যা বিতর্ক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কিছু যুক্তি প্রশ্নের উর্ধে নয়, সাফ জানিয়ে দিল সিপিএমের পলিটব্যুরো৷ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এক বিবৃতিতে পলিট ব্যুরো এও জানিয়েছে যে, ওই রায়কে ব্যবহার করে এমন কোনও উস্কানিমূলক আচরণ থেকে দূরে থাকতে হবে৷ এমন কিছু করা উচিত হবে না যে, সেই কারণে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়৷

অযোধ্যা রায়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলল সিপিএম, তুঙ্গে চর্চা

কলকাতা: অযোধ্যা বিতর্ক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কিছু যুক্তি প্রশ্নের উর্ধে নয়, সাফ জানিয়ে দিল সিপিএমের পলিটব্যুরো৷ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এক বিবৃতিতে পলিট ব্যুরো এও জানিয়েছে যে, ওই রায়কে ব্যবহার করে এমন কোনও উস্কানিমূলক আচরণ থেকে দূরে থাকতে হবে৷ এমন কিছু করা উচিত হবে না যে, সেই কারণে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়৷

সিপিএমের বক্তব্য, অযোধ্যায় দীর্ঘদিনের বিতর্কিত বিষয় নিয়ে এদিন রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ পলিটব্যুরো বক্তব্য, ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমি ট্রাস্টের মাধ্যমে মন্দির নির্মাণের জন্য হিন্দু পক্ষকে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ অন্যদিকে, মসজিদ তৈরির জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প পাঁচ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

পলিটব্যুরো বলেছে, এই রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ একটি বিতর্কের অবসান ঘটাতে চেয়েছে৷ মনে রাখা প্রয়োজন, এই বিতর্ক সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলোকে এদেশে জাগ্রত করেছে৷ মনে রাখতে হবে, ওই বিতর্কের জেরেই দেশে হিংসা-হানাহানি ঘটেছে, প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ৷

পলিটব্যুরো জানিয়েছে, সিপিএম বরাবরই বলেছে, আপসের মাধ্যমে মীমাংসা না হলে বিচারবিভাগীয় পথেই একমাত্র পথ৷ ওই পথেই বিতর্কিত বিষইটির সমাধান হওয়া হতে পারে৷ তবে, বিবাদপূর্ণ বিষয়ে আইনী সমাধানের কথা সুপ্রিম কোর্টের রায়ে থাকলেও কিছু যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছেই৷

পলিট ব্যুরোর পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মেনে নেওয়া হয়েছে ১৯৯২সালের ডিসেম্বরে বাবরি মসজিদ ধ্বংস একটি আইন ভাঙার ঘটনা ছিল৷ এই ঘটনা একটি ফৌজদারি অপরাধ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর আঘাত হেনেছিলো৷ ওই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হোক৷ দোষীরা আজ পাক৷

অন্যদিকে, ১৯৯১ সালের ধর্মাচরণের স্থান সংক্রান্ত আইনের প্রশংসা করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ যার অর্থ, ধর্মীয় স্থান সংক্রান্ত বিরোধ আবার সামনে আনা যাবে না৷ ব্যবহারও করা যাবে না৷ রাজনৈতিক দলগুলোকে তা মনে রাখতে হবে৷
সিপিএমের সাফ কথা, রায় তো বেরিয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু এই রায়কে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারে এমন কোনওরকম কাজ যেন না হয়৷ কিছু রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে সামনে আসছে৷ এই রায়ের প্রভাব যেন রাজনৈতিক দলগুলি না তুলতে যায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 6 =