‘কাপুরুষরাই ষড়যন্ত্র করতে মহিলাদের ব্যবহার করে’, জামিনের পরেই হুংকার জিগনেশ মেবানির

‘কাপুরুষরাই ষড়যন্ত্র করতে মহিলাদের ব্যবহার করে’, জামিনের পরেই হুংকার জিগনেশ মেবানির

গুয়াহাটি: যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেও হল না কোনও লাভ। তিন দিন হাজতবাসের পরেই জামিন পেলেন প্রাক্তন ছাত্রনেতা তথা গুজরাটের বিধায়ক জিগনেশ মেবানি। উল্লেখ্য, গত বুধবার দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটুক্তি করার অপরাধে জিগনেশকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অসমেরই এক বিজেপি নেতা। আর সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে গ্রেফতার করা হয় জিগনেশকে। এরপর সোমবার জামিন পাওয়ার পরপরই তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয় এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। জামিল মিলতে না মিলতেই ফের গ্রেফতার হন ওই বিধায়ক। কিন্তু সেই অভিযোগও ধোপে টিকল না। শুক্রবার ফের জামিন পেয়ে জেলের বাইরে এলেন জিগনেশ। আর বাইরে পা রেখেই বিজেপি দলের বিরুদ্ধে উগ্রে দিলেন একরাশ ক্ষোভ।

এদিন জামিনের পর জেলের বাইরে বেরিয়ে জিগনেশ বলেন, ‘আমার এই গ্রেফতারি কোনও সাধারণ ঘটনা নয়। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে নির্দেশ দেওয়ার পরেই এটা করা হয়েছে। তবে আমার টুইট প্রসঙ্গে আমি বলতে চাই, আমি গর্বিত প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আমি যা লিখেছিলাম তার জন্য। ওই টুইটে আমি প্রধানমন্ত্রীকে শুধুমাত্র শান্তি এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ করেছিলাম যাতে কোনও সাম্প্রদায়িক অশান্তির ঘটনা না ঘটে। ভারতের নাগরিক হিসেবে এটা আমার অধিকার। কিন্তু আইনের রক্ষক হিসেবে তোমার কর্তব্য কি? দেশের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করা যে কোনও সাধারণ নাগরিকের কর্তব্য, আমি সেটাই করেছিলাম।’

অন্যদিকে জিগনেশ তাঁর দ্বিতীয় অভিযোগ নিয়ে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেখানে একজন মহিলাকে ব্যবহার করা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য। আমাদের দেশের সরকার অত্যন্ত ভীতু ও কাপুরুষ। তাই তাঁরা একজন মহিলাকে ব্যবহার করেছে আমার বিরুদ্ধে। এটা একটা কাপুরুষোচিত কাজ।’ এর সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা দুটো মামলাই মিথ্যা এবং অসাড়। আর তাই সেগুলো ধোপে টেকেনি। এটা রাজ্যের দলিতদের বিরুদ্ধে করা একটি গভীর ষড়যন্ত্র, যার মূল্য বিজেপিকে দিতে হবে।’

গুজরাটের নির্বাচন প্রসঙ্গেও এদিন মন্তব্য করেন জিগনেশ। তিনি বলেন, গুজরাটের নির্বাচন এগিয়ে আসছে, আর তাই আমাকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। জনগণ এই কৌশল বুঝতে পেরেছে। যে মুহূর্তে আমাকে গুজরাট থেকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছিল আমি জানতাম তারা আমাকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর পরিকল্পনা করছে।’ গত বুধবার গুজরাটে নিজের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় জিগনেশ মেবানিকে। সেখান থেকে তাঁকে ওইদিনই অসমের বারামুলাতে নিয়ে আসা হয়। এই এক সপ্তাহ অসমের ওই জেলাতেই পুলিশি হেফাজতে ছিলেন জিগনেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *