নয়াদিল্লি: করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকে যে দুটি অস্ত্র ভারতের হাতে রয়েছে তা হল কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড৷ কিন্তু কোভ্যাক্সিনের তুলনায় অনেক বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি করে কোভিশিল্ড৷ এমনই তথ্য উঠে এল গবেষণায়৷ এই দুটি টিকা নেওয়া চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর গবেষণা চালিয়ে এই তথ্য উঠে এসেছে৷
আরও পড়ুন- এবার করোনার ছোবলে প্রাণ গেল ৬ দিনের শিশুর!
প্রাথমিক ভাবে এই সমীক্ষাটি চালিয়েছে COVAT৷ এই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের চেয়ে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেওয়া ব্যক্তির শরীরে অ্যান্টি স্পাইক অ্যান্টিবডি বেশি তৈরি হয়েছে৷ তবে দুটি ডোজ নেওয়ার পর দুটি ভ্যাকসিনই অ্যান্টি স্পাইক অ্যান্টিবডি তৈরিতে কার্যকর বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷
সমীক্ষা বলছে, ৫১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীর উপর এই সমীক্ষা করা হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে ৩২৫ জন পুরুষ ও ২২৭ জন মহিলা৷ তাঁরা যথাক্রমে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের ডোজ পেয়েছিলেন৷ দেখা গিয়েছে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ৯৫ শতাংশ মানুষের শরীরে বেশি সংখ্যায় অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে৷ ৪২৫ জন কোভিশিল্ড নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে ৯৮.১ শতাংশ৷ অন্যদিকে, ৯০ জন কোভ্যাক্সিন নেওয়া কর্মীর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে ৮০ শতাংশ৷ ফলে কোভ্যাক্সিন নেওয়া ব্যক্তির তুলনায় কোভিশিল্ড নেওয়া ব্যক্তির শরীরে কিছুটা বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে৷
যদিও অ্যান্টি-স্পাইক অ্যান্টিবডি এবং নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি টাইটার (এনএবি) দু’টো এক জিনিস নয়। এনএবি হল অ্যান্টিবডি স্পাইকের একটি অংশ৷ তবে এই দুটি ডোজ নেওয়ার পর ২৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে ২৫ জন মৃদু ও ২ জনের মধ্যে মাঝারি উপসর্গ দখা গিয়েছে৷ কারও মৃত্যু হয়নি৷