নয়াদিল্লি: দিনে দিনে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তবে ভারত করোনা সংক্রমণের দিক থেকে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছয়নি বলেই মনে করছে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (এইমস)র অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানিয়েছেন, জুন বা জুলাই মাসে করোনা সংক্রমণে ভারত সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যাবে। তবে তিনি মন্তব্য করেছেন, এই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।
সংবাদসংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে তিনি জানিয়েছেন, যেহারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে মনে করা হচ্ছে জুন বা জুলাই সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে যাবে। তবে এখনই এই বিষয়ে স্থিরভাবে বলা সম্ভব নয়। পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। লকডাউনের সীমা বাড়ানো হয়েছে। তা কতটা প্রভাবিত হয়, তার ওপর অনেকটা নির্ভর করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও কেন্দ্রের পাশাপাশি প্রতিটি রাজ্য করোনা মোকাবিলায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের প্রভাবও থাকবে।
করোনা মোকাবিলায় কোনও প্রতিষেধক নেই। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর পাশাপাশি ভারতও এই শৃঙ্খল ভাঙার জন্য লকডাউনেক আশ্রয় নিয়েছে। তবে লকডাউনের জন্যই দেশে করোনা সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তিনি মনে করছেন।
According to modeling data&the way our cases are increasing, it is likely that peak can come in June&July. But there are many variables&with time only we will know how much they are effective&the effect of extending the lockdown: Randeep Guleria, AIIMS Director #COVID19 pic.twitter.com/G28on79Wzy
— ANI (@ANI) May 7, 2020
সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়, দেশে লকডাউনের আগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩.৪ দিনে দ্বিগুন হচ্ছিল। একটা সময় তা ১২ দিনে হচ্ছিল। তবে বর্তমানে ভারতের পরিস্থিতিতি বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় ভালো রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ৩,৮২২,৯৫১ জন। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে৷