নয়াদিল্লি: দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউয়ের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল একাধিকবার। জানানো হয়েছিল আগস্টের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই দেশে আছড়ে পড়বে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ, যার ফলে প্রবলভাবে আক্রান্ত হবে শিশুরা। যদিও মাঝে কয়েকটি রিপোর্ট দাবি করেছিল যে শিশুদের আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা তুলনামূলক কম। কিন্তু আপাতত কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্ট যে কথা বলছে তাতে শিহরিত হতে হবে। কারণ তাদের স্পষ্ট দাবি, তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে দেশের এবং অক্টোবর মাসেই সর্বাত্মক সংক্রমণ বৃদ্ধি ঘটবে! একইসঙ্গে দাবি করা হয়েছে যে শিশুরা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তৈরি হওয়া জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের গঠিত একটি কমিটির রিপোর্ট বলছে, করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউয়ে একদিকে যেমন প্রাপ্তবয়স্করা আক্রান্ত হবেন ঠিক তেমনি শিশুদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে প্রবলভাবে। তবে সব থেকে বেশি চিন্তা থেকে যাচ্ছে সেই সব শিশুদের নিয়ে যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে। এই সমস্ত শিশুদের দ্রুত টিকাকরণ যাতে হয়ে যায় তার দিকে নজর দিতে বলা হচ্ছে। একই সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে, আগামী অক্টোবর মাসে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটাবে। এর আগে দাবি করা হয়েছিল, টিকাকরণ বৃদ্ধি পেলে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ দেখে খানিকটা হলেও মুক্তি মিলবে কারণ দেশের অধিকাংশ জনগন যদি টিকা পেয়ে যান তাহলে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় কমে যায়। তবে এই মুহূর্তে দেশের টিকাকরণের যে পরিস্থিতি তাতে কিছুটা হলেও শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- ঘাটতি মেটাতে বাজার থেকে ভ্যাকসিন সিরিঞ্জ কিনল কলকাতা পুরসভা
সংক্রমণের থেকেও আরো বেশি চিন্তার বিষয় পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিকাঠামো। কারণ শিশুদের চিকিৎসার জন্য দেশে এখনো পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই এবং তাই যদি অতিরিক্ত পরিমাণে শিশুরা আক্রান্ত হয়ে পড়ে তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া প্রচন্ড কঠিন হয়ে পড়বে। সেই কারণে আগে থেকেই এই বিষয় নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ রাজ্য প্রশাসন গুলিকে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে আদতে এই বিষয় কতটা কাজে গিয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন।