নয়াদিল্লি: দেশে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ এরই মাঝে মিলল সামান্য স্বস্তির খবর৷ গত দুই সপ্তাহের তুলনায় দেশে করোনা মুক্ত হওয়ার হার অনেকটাই বেড়েছে বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ ভারতে করোনা আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হার বা করোনাভাইরাস রিকভারি রেট ১৪ দিন আগে ছিল ১৩ শতাংশ৷ এই হার এখন বেড়ে হয়েছে ২৫.১৩ শতাংশ৷ বৃহস্পতিবার সরকারি আধিকারিকরা জানান, এখনও পর্যন্ত মোট ৮,৩২৪ জনকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়েছে৷ ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার ৩.২ শতাংশ৷ এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৫ শতাংশ মহিলা৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ১৭১৮ জনের দেহে মিলেছে করোনার চিহ্ন। মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩৩,০৫০৷ মৃত্যু হয়েছে ১,০৭৪ জনের৷ সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, লকডাউনের আগে যেখানে করোনায় আক্রান্ত দ্বিগুণ হওয়ার হার অর্থাৎ ডবলিং রেট ছিল ৩.৪ দিন, এখন তা বেড়ে হয়েছে ১১ দিন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানান, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, ওডিশা, রাজস্থান, তামিলনাড়ু এবং পঞ্জাবে দেখা গিয়েছে কোভিড ডবলিং রেট ১১ থেকে ২০ দিন৷ অন্যদিকে, কর্ণাটক, লাদাখ, হরিয়ানা, উত্তরখণ্ড এবং কেরলে করোনা আক্রান্ত রোগী দ্বিগুণ হওয়ার হার ২০ থেকে ৪০ দিন৷
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন জারি করা হয়েছে৷ লকডাউনের ফলে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো গিয়েছে৷ লকডাউন না হলে সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিত৷ দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ত। নীতি আয়োগের চিফ এগজিকিউটিভ অমিতাভ কান্ত বলেন, “আমাদের বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে, পজিটিভ এবং মৃত্যুর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমছে৷”
৩ মে’র পরেও লকডাউন কার্যকর থাকবে কিনা, সেই বিষয়ে শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে সরকারি সূত্রের খবর, যে সমস্ত জেলা রেড জোন বলে চিহ্নিত হয়েছে, সেখানে কড়াকড়ি থাকবে৷ যে সমস্ত এলাকায় আক্রান্তের হার কম, সেখানে লকডাউন শিথিল করা হবে। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের তালিকার শীর্ষে রয়েছে মুম্বই, দিল্লি এবং আহমেদাবাদ৷ সেই শহরগুলিতে চটজলদি রোগ নিরাময়ের কোনও লক্ষণ নেই বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।