নয়াদিল্লি: গত ১০০ বছরে স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির হাল এতটা সঙ্গীন হয়নি৷ কোভিড পরিস্থিতি অর্থনীতির উপর এক গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে৷ যার ধাক্কা এসে পড়েছে মানুষের জীবিকার উপরে৷ এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করাই হবে মূল লক্ষ্য৷ দেশের সপ্তম এসবিআই ব্যাংকিং অ্যান্ড ইকোনমিকস কনক্লেভে ভিডিও বার্তায় এমনটাই জানালেন রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস৷
এদিন তিনি বলেন, দীর্ঘ লকডাউনে শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকায় ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতি। কর্মসংস্থান, মানুষের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য সবকিছুতেই থাবা বসিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি তলানিতে ঠেকেছে৷ গত ১০০ বছরে এমন আর্থিক অবনতির সম্মুখীন হতে হয়নি ভারতকে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে চাকরি ক্ষেত্রে৷ বহু মানুষ আজ কর্মহীন৷ কাটা হচ্ছে বেতন৷ এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরবিআই একাধিক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করেছে বলে এদিন উল্লেখ করেন শক্তিকান্ত দাস৷ ব্যাংকগুলিকে সচল রাখতে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়া অর্থনীতি সামাল দিতে একাধিক আর্থিক সংস্কারের পথে হেঁটেছে আরবিআই৷
আর্থিক নীতি নির্ধারণেও অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিসংখ্যান তুলে ধরে আরবিআই গভর্নর বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ২৫০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমিয়েছে আরবিআই৷ অর্থাৎ প্রায় আড়াই শতাংশ৷ অর্থাৎ ব্যাংকগুলি থেকে ২.৫ শতাংশ কম সুদ কম নিচ্ছে আরবিআই৷ করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করতে লঘু করা হয়েছে ঋণ গ্রহণের নিয়ম। উদ্যেক্তারা যাতে বেশি মাত্রায় ঋণ নিতে পারেন, তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। একাধিক ক্ষেত্রে নিয়ম শীথিল করা হয়েছে৷
দেশের আর্থিক হাল ফেরাতে লিকুইডিটির পরিমাণ ফেব্রুয়ারির মাসের জিডিপি ৪.৫ শতাংশের সমতুল্য ঘোষণা করেছে আরবিআই। মানুষের হাতে যাতে অর্থ থাকে, সেই সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। আরবিআই আর্থিক দিক থেকে দেশকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে বলেও এদিন মন্তব্য করেন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।