নয়াদিল্লি: বাড়তে বাড়তে লক্ষ পার! আজ দেশের সংক্রমণ আজ ১ লক্ষ পার করে ফেলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ১৭ হাজার ১০০ জন৷ যা গতকালের তুলনায় ২৮.৮ শতাংশ বেশি। গত বছর জুন মাসে দৈনিক এক লক্ষ আক্রান্তের গন্ডি পেরিয়েছিল দেশ। সব মিলিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৫২ লক্ষ ২৬ হাজার ৩৮৬ জন। তবে এখানেই শেষ নয়। দৈনিক করোনা আক্রান্ত ১০ লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা! এমনই তথ্য সামনে আসছে, যা আরও বেশি উদ্বেগ বৃদ্ধি করল।
ভারতের দু’টি গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল ইনস্টিটিউট (বেঙ্গালুরু) তাদের সর্বশেষ গবেষণায় জানিয়েছে, আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শিখরে পৌঁছবে দেশের ভাইরাস সংক্রমণ এবং জানুয়ারী মাসেই দিন প্রতি ১০ লক্ষ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার প্রভাব থাকবে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনই এই চরম পর্যায়ের জন্য দায়ি হবে বলে দাবি করা হয়েছে এই গবেষণায়। ইতিমধ্যেই মাত্র কয়েক দিনেই দেশের আক্রান্ত ১ লক্ষের ওপর চলে গিয়েছে, যা কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত ১০ হাজারের নীচে ছিল। তাই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, আগামী দিন পরিস্থিতি কোন জায়গায় যেতে চলেছে। তবে প্রত্যেক রাজ্যে এক সময় করোনার বাড়বাড়ন্ত হবে না বলে অনুমান করা হচ্ছে। মানে, দিল্লিতে মাঝ জানুয়ারীতে সর্বোচ্চ হলেও পশ্চিমবঙ্গে সেই সময় নাও হতে পারে।
উল্লেখ্য, দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ২৬৫ জন৷ মহারাষ্ট্রের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৪২১ জন। এর পর যথাক্রমে রয়েছে দিল্লি (১৫,০৯৭), তামিলনাড়ু (৬,৯৮৩) এবং কর্ণাটক (৫,০৩১)। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ৩০২ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এর মধ্যে সর্বাধিক ২২১ জনের মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণী রাজ্য কেরলে। অন্যদিকে, মৃত্যুর নিরিখেও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। গত ২৪ ঘন্টায় পশ্চিমবঙ্গে ১৯ জন কোভিড আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে৷ পাশাপাশি হু হু করে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও৷ এখন দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩,০০৭ জন। তবে তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ১৯৯ জন আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে, ৮৭৬৷