বায়ুদূষণের জেরে বাড়বে করোনার সংক্রমণ, মৃত্যু হতে পারে বহু রোগীর!

বায়ুদূষণের জেরে বাড়বে করোনার সংক্রমণ, মৃত্যু হতে পারে বহু রোগীর!

a757d7f2e68f68d5c8502ed1160c2c2f

 

নয়াদিল্লি: রাজধানীতে বায়ুদূষণ নিয়ে মাঝেমধ্যেই সমস্যায় পড়ে দিল্লিবাসী৷ অক্টোবরের এই মাঝামাঝি সময় থেকেই বাড়তে থাকে দূষণের পরিমাণ৷ তবে এর ফলে দিল্লিতে কোভিড পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হবে বলে দাবি করেছিলেন চিকিত্সকেরা৷ মারণ করোনা ভাইরাসের অন্যতম সাধারণ লক্ষণ হ’ল শ্বাসকষ্ট৷

চিকিত্সকদের মতে উত্তর ভারতে প্রতিবছরের মতো এবার যদি বাতাস হঠাৎ করে আরও বেশি বিষাক্ত হয়ে ওঠে, তবে ভাইরাসে সংক্রামিত আরও বেশি লোক হাসপাতালে এসে মারা যেতে পারে৷ তাদের বাঁচানো কোনওভাবেই সম্ভব নয়৷ দিল্লির লাঙ কেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেস্ট সার্জেন্ট অরবিন্দ কুমার বলেন, যদি দুটি লোক ফুসফুসে একসঙ্গে গুলি চালায় তাহলে বেশি সমস্যা তো হবেই৷ যার মানে একদিকে কোভিডের সংক্রমণ অন্যদিকে দূষিত বায়ু ফুসফুসে গেলে তার ক্ষতি তো অবসম্ভাবী৷

স্বাস্থ্যের দিক থেকে ভারত এখন দুটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি৷ একটি কোভিড ও দ্বিতীয়টি হল বায়ুদূষণ৷ এই দুটিই মারাত্মকভাবে বেড়ে চলেছে৷ শীত আসার আগেই দিল্লিতে এসে গেছে বায়ুদূষণের কালো দিন। কালো ধোঁয়ায় ঢাকা পড়ছে আকাশ। কমছে দৃশ্যমানতা। এমনিতেই রাজধানীতে করোনার প্রকোপ এখনও কাটেনি। তারপরে বায়ুদূষণে আরও বাড়বে শ্বাসকষ্ট। সেই সময় করোনার আক্রমণ আরও বেশি প্রাণঘাতী হতে পারে বলেই মনে করছেন চিকিত্সকেরা। কারণ, করোনা ভাইরাস ও দূষণ দুটোই ফুসফুসকে আক্রমণ করে।দিল্লি সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে যে এখন যেখানে ৩–৪ হাজারের মধ্যে রয়েছে দৈনিক সংক্রমণ, সেখানে শীতে দিনে ১৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন৷ যার জেরে রীতিমত চাপে পড়েছে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার৷

গত বছরও বায়ুদূষণের ফলে রাজধানীর বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েন। শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালার মতো সমস্যা দেখা দেয়৷ শুধু দিল্লিই নয় উত্তর ভারতের আরও বহু রাজ্যে এই একই সমস্যা দেখা দিয়েছিল৷ এই দূষিত বায়ু মানুষের শরীরে গেলে শ্বাসকষ্ট ও ব্রেন ড্যামেজের মত মারাত্মক সমস্যাও দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছিলেন চিকিত্সকেরা৷ তাদের মতে সেসব এলাকায় এই দূষণের পরিমাণ বাড়বে সেসব এলাকায় বাড়বে সংক্রমণের পরিমাণও৷ যার ফলে মনে করা হচ্ছে ফের দিল্লিকে আষ্টেপৃষ্টে ধরবে করনো ভাইরাস৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *