ঝিন্দ: করোনা কালে যখন বারবার অমানবিকতার ছবি ছুটে উঠছে দেশের সর্বত্র, তখন মানবিকতার পরিচয় পাওয়ার গেল চোরের থেকে।
চুরি করার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই বোধোদয় ঘটে চোরের। নিজের ভুল বুঝতে পেরে টিকার ডোজ ভর্তি বাক্স ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে জিন্দের সিভিল লাইন থানা সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে একটি বাক্স পাওয়া যায়৷ বাক্সের ওপরে একটি চিরকুটে লেখা, ’দুঃখিত, আমি বুঝতে পারিনি এর ভিতরে করোনার ওষুধ আছে।’ পুলিশ এখন ওই ‘সহৃদয়’ চোরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। তাঁদের ধারণা, অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ রেমডিসিভির চুরি করতে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু ভুল করে টিকা নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। এই ঘটনাই বলে দেয় বর্তমান করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা৷ চোরও ভ্যাকসিন ভর্তি বাক্স ফিরিয়ে দিয়ে যাচ্ছে!
ঝিন্দের পিপিসি সেন্টার জেনারেল হাসপাতালের স্টোর রুমে রাখা ছিল ১ হাজার ৭১০টি টিকার ডোজ। তাতে কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড দু’ রকম টিকাই ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম ঘটনাটি লক্ষ্য করেন স্টোর রুমের সুইপার। তিনি দেখেন স্টোর রুমের তালা ভাঙা। ভিতরে ঢুকে দেখা যায় বিপুল সংখ্যক ভ্যাকসিনের ডোজ উধাও৷ স্টোর রুমের দরজা ভেঙে শুধু টিকাগুলিই চুরি করে নিয়ে গিয়েছেন চোরেরা। ওই পিপিসি সেন্টার ইনচার্জের অভিযোগ, করোনা ভ্যাকসিনের মধ্যে কোভিশিল্ডের ১২৭০ ডোজ এবং কোভ্যাকসিনের ৪৪০ ডোজ চুরি গিয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে জিন্দের গোটা জেলায় হাসপাতালে সরবরাহ করার মতো টিকা নেই। স্টোর রুমে বাকি ওষুধ বা অন্য চিকিৎসার উপকরণ যা ছিল, সবই যথাস্থানে রয়েছে৷ সেগুলোয় হাত দেওয়া হয়নি। শুধু বেছে বেছে টিকাগুলি চুরি করে নিয়ে যান। এর থেকেই ধরে নেওয়া হয়েছিল, চোর নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এসেছিলেন। তাই ‘মহার্ঘ্য’ টিকাগুলিই চুরি করে পালান তিনি। চুরির ঘটনা সামনে আসতেই হাসপাতালের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।