পাটনা: তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকায় তা দেশজুড়ে আছড়ে পড়ার আগেই তা থেকে বাঁচতে টিকার ট্রায়াল শুরু করে দিল কেন্দ্র৷
এর আগেই ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের ওপর কোভ্যাক্সিন ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছিল ভারত বায়োটেক। এবার ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার অনুমতিও মিলে গেল৷ সেই ছাড়াপত্র পেয়েই শিশুদের ওপর কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হল। একটি চিকিৎসক দলের তত্ত্বাবধানে পাটনার এইমস-এ শিশুদের ওপর এই কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। পাটনা ছাড়াও শিশুদের ওপর কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল শুরু হওয়ার কথা দিল্লি ও নাগপুরেও। দিল্লি ও পটনার এইমস ও নাগপুরের মেডিট্রিনা ইনস্টিটিউটে এই ট্রায়াল হওয়ার কথা মোট ৫২৫টি শিশুর ওপর। টিকা দেওয়ার পর তাঁদের শরীরে কোনও প্রভাব পড়ে কি না, সেদিকে নজর রাখা হবে৷ এছাড়া এই টিকা কার্যকারিতা শিশুদের ওপর কেমন হয়, সেটাও পরীক্ষা করে দেখা হবে।
শিশুদের ওপর ট্রায়াল শুরু গেমচেঞ্জার হতে পারে। তবে চিন্তার বিষয় হল, এই মুহুর্তে দেশজুড়ে টিকার ভাঁড়ারে টান পড়ায় শিশুদের ওপর ক্লিনিকাল ট্রায়াল সফল হলে চাহিদা আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী জোগান হবে কিনা, নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তবে ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতি মাসে অন্তত ১০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ উৎপাদন করা হবে। এর ফলে চাহিদার সঙ্গে জোগানের সামঞ্জস্য থাকবে। জুলাই-অগাস্ট থেকেই প্রতি মাসে ৬ থেকে ৭ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ উৎপাদিত হবে বলেও ভারত বায়োটেকের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনার তৃতীয় ঢেউ শিশুদের জন্য অনেক বেশি মারাত্মক হবে বলে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তৃতীয় ঢেউয়ে প্রায় ১০০ দিন ধরে সংক্রমণ ছড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে করোনা নামক বিপদ যে এখনও কাটেনি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।