প্রয়াগরাজ: বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে নির্বাচন কমিশন৷ এবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রশ্নের সম্মুখীন তারা৷ কোভিড গাইডলাইন মানতে কেন ব্যর্থ হল নির্বাচন কমিশন৷ মঙ্গলবার এই প্রশ্ন তুলল এলাহবাদ হাইকোর্ট ৷ এই নিয়ে ওই আদালতের তরফে নোটিস দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে৷ উত্তরপ্রদেশে এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন চলছে ৷ সেখানে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন ১৩৫ জন শিক্ষক, শিক্ষামিত্র এবং ইনভেস্টিগেটর৷ সেই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে এই নোটিস উত্তরপ্রদেশ সরকারকে দিয়েছে এলাহবাদ হাইকোর্ট৷
সরকারের কাছে আদালতের প্রশ্ন, রাজ্যের নির্বাচনী প্যানেলের বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না ? কোভিড বিধি ভাঙার জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের কেন অপরাধী করা হবে না?এখানেই শেষ নয়, উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরের দফাগুলিতে যাতে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ পালন করা হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ এমনকি অক্সিজেন না পেয়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ৷ আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্বাধীনতার সাত দশক পেরিয়ে যাওয়ার পর দেশের নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে না পারাটা খুবই লজ্জার ব্যাপার ৷
এই পরিস্থিতিতে আদালতের তরফে লখনউ, প্রয়াগরাজ, বারাণসী, আগরা, কানপুর, গোরখপুর ও ঝাঁসির সরকারি হাসপাতালগুলিতে দিনে দু’বার করে স্বাস্থ্য-বুলেটিন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ পাশাপাশি আদালতের তরফে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে৷ উল্লেখ্য, সোমবার মাদ্রাজ হাইকোর্টে তামিলনাড়ুর করুর বিধানসভা সিটে গণনার ব্যাপারে দায়ের হওয়া পিটিশনের শুনানি চলাকালীন দেশে করোনা পরিস্থিতি এতটা খারাপ হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন বিচারপতি। মাদ্রাজ হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল, ২ মে গণনার সময় যাতে কোভিড প্রোটোকল পালন হয় তার খসড়া বানাতে হবে কমিশনকে। তা না হলে ভোটগণনা আপাতত স্থগিত রাখা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আদালত। এমনকী নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, আপনাদের বিরুদ্ধে মানুষ খুনের অভিযোগ দায়ের হওয়া উচিত ছিল। মাদ্রাজ হাইকোর্টের ভর্ৎসনা শুনে কমিশনের কর্তারা নড়েচড়ে বসেন এবং তড়িঘড়ি ২রা মে বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।