চিনের জৈব মারণাস্ত্রে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মুখে পৃথিবী, আশঙ্কা অমূলক?

কোভিড-১৯ ঝড়ে নাস্তানাবুদ তামাম দুনিয়া৷ গোটা বিশ্বের প্রায় ২৭ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত এই মারণ করোনাভাইরাসে৷ মৃত লক্ষাধিক৷ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চিন থেকে শুরু হওয়ার এই ভাইরাসের তাণ্ডব অলক্ষেই গোটা বিশ্বকে ঠেলে দিচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে৷ 

নয়াদিল্লি:  কোভিড-১৯ ঝড়ে নাস্তানাবুদ তামাম দুনিয়া৷ গোটা বিশ্বের প্রায় ২৭ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত এই মারণ করোনাভাইরাসে৷ মৃত লক্ষাধিক৷ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চিন থেকে শুরু হওয়ার এই ভাইরাসের তাণ্ডব অলক্ষেই গোটা বিশ্বকে ঠেলে দিচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে৷ 

সম্ভবত সারা বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জারি করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এই ভাইরাস তৈরি করেছে চিন৷ আর এই যুদ্ধ শুরু হলে জৈব মারণাস্ত্রকে হাতিয়ার করেই লড়বে গোটা বিশ্ব৷ যে অস্ত্র তৈরি হবে জীবাণু দিয়ে৷ শুরু হবে মনস্তাত্ত্বিক সংগ্রাম৷ আক্রমণ হবে বিশ্বের অর্থনীতির উপর৷ এমনটাই উঠে এসেছে জি  নিউজের বিশ্লেষণে৷ 

এর আগেও একাধিকবার বলা হয়েছিল যে, বিশ্বের তাবর তাবর দেশগুলি যতক্ষণে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে উঠবে, ততক্ষণে বিশ্ব অর্থনীতির রাশ নিজের হাতে তুলে নেবে চিন৷ কিন্তু বিষয়টি অনের দূর পর্যন্ত গড়িয়ে গিয়েছে৷ এখন সবার আগে বুঝতে হবে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে চিন কি ভাবছে৷ তাদের সর্বশেষ পরিকল্পনা কি৷ 

লকডাউনের জেরে থমকে গিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির গতি৷ সারা বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের দাম তলানিতে ঠেকেছে৷ আমেরিকার মতন দেশে অপরিশোধিত তেলের দাম কমতে কমতে শূন্যের নীচে অর্থাৎ মাইনাসে নেমে গিয়েছে৷ এই পরিস্থিতির ফায়দা লুটছে চিন৷ বিপুল পরিমাণে তেল মজুত করে রাখছে বেজিং৷ 

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চিনের উহান প্রদেশে প্রথম হানা দেয় করোনাভাইরাস৷ ২০২০ সালের মার্চ মাসে সারা বিশ্বে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷ করোনা পরিস্থিতিতে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম আচমকাই পড়তে শুরু করে৷ তেল উৎপাদন নিয়ে রাশিয়া এবং সৌদি আরবের কোন্দলে জলের দরে পৌঁছে যায় তেলের দাম৷ এই সুযোগে গত তিন মাসে অপরিশোধিত তেল কিনতে শুরু করে চিন৷ 

জানা গিয়েছে, গত মার্চ মাসে অপরিশোধিত তেল আনার জন্য সৌদি আরবে ৪০টি ট্যাঙ্কার পাঠিয়েছিল চিন৷ প্রতিটি ট্যাঙ্কারে ৩২ মিলিয়ন লিটার তেল ধরে৷ ইতিমধ্যেই প্রায় ৬.৫ বিলিয়ন লিটার তেল জমা করে ফেলেছে চিন৷ তেলের পরিমাণ ৬৫০০ মিলিয়ন থেকে ৮০০০ মিলিয়ন লিটার করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের৷ 

সুকৌশলে সারা বিশ্বকে মহামারির দিকে ঠেলে দিয়েছে চিন৷ করোনা ঝড়ের মুখে পড়ে সারা বিশ্ব যখন ছটফট করছে, তখন আখের গোচাচ্ছে তারা৷ সারা বিশ্বকে শোষন করে অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী হওয়ার যাবতীয় অস্ত্র প্রয়োগ করে চলেছে বেজিং৷  সারা বিশ্বের উপর করোনাভাইরাসের আঘাত হেনে, মলম লাগাচ্ছে তারাই৷ এতেও রয়েছে গভীর অভিসন্ধি৷ একাধিক দেশে নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়ে ভরছে নিজেদের কোষাগার৷ চিনের ভাইরাস আক্রমণে যখন ধরাশায়ী বিশ্ব অর্থনীতি, তখন বিশ্বব্যাপী দেউলিয়া হওয়া সংস্থাগুলি কিনতে উদ্যত সে দেশের সরকার৷    

এদিকে, চিনের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপর বেজায় ক্ষুদ্ধ আমেরিকা৷ আর্থিক সাহায্য বন্ধ করেছে তারা৷ এই সুযোগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপর প্রভাব বিস্তার করতে মোটা অংকের অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে চিন৷ 
বলা ভালো, চিনের ছোঁড়া দ্বিফলায় বিদ্ধ বিশ্ব৷ একদিনে করোনা রুখে মানুষের জীবন বাঁচানোর সংগ্রাম৷ অন্যদিকে অর্থনীতির উপর চিনের কব্জা রোখার লড়াই৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *