ডিসেম্বরের মধ্যেই বাজারে আসবে করোনার ভ্যাকসিন, জানাল সেরাম ইনস্টিটিউট

নয়াদিল্লি: ক্রিসমাসের আগে তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এবার পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) প্রধান নির্বাহী আদার পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটিশ সংস্থা আস্ট্রাজেনেকা তৈরি করোনা ভ্যাকসিনটি এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই জনসাধারণের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। সেরাম ইনস্টিটিউট বর্তমানে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনিকার করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালাচ্ছে ভারতে।

36f2501e78e7403e1e17f4e569fef417

নয়াদিল্লি: ক্রিসমাসের আগে তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এবার পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) প্রধান নির্বাহী আদার পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটিশ সংস্থা আস্ট্রাজেনেকা তৈরি করোনা ভ্যাকসিনটি এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই জনসাধারণের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। সেরাম ইনস্টিটিউট বর্তমানে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনিকার করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালাচ্ছে ভারতে।

সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, সংস্থাকে জরুরি লাইসেন্সের জন্য উদ্যোগ না নিতে হলে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভ্যাকসিন প্রস্তুত হয়ে যাবে। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ব্রিটেনে যদি ট্রায়াল শেষ হয়ে যায় তবে জানুয়ারিতে ভারতে এই ভ্যাকসিন আসতে পারে। তিনি আরও বলেন, আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাজ্য তথ্য জানিয়ে দেবে এবং যদি ভ্যাকসিনটি নিরাপদ বলে অক্সফোর্ডের তরফে জানানো হয় তবে সেরাম ইনস্টিটিউট ভারতীয় নিয়ন্ত্রকের আগে জরুরি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবে। পুনাওয়ালা এও বলেন, ‘কোভিডশিল্ড’-এর ১০০ মিলিয়ন ডোজগুলির প্রথম ব্যাচ ২০২১ সালের দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোয়ার্টারের মধ্যে পাওয়া উচিত।

সিইও দাবি করেছেন যে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের সুরক্ষা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও উদ্বেগ নেই। এখনও পর্যন্ত পরীক্ষার ফল ইতিবাচক। তবে পুনাওয়ালা বলেছিলেন যে ভ্যাকসিনটির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব রয়েছে কি না তা জানতে অন্তত এক থেকে দুই বছর সময় লাগবে। তিনি এও জানান অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনটি দুটি ডোজ নিতে হবে। দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান হতে হবে ২৮ দিন। ভ্যাকসিনের দাম সম্পর্কে পুনাওয়ালা বলেন এই ভ্যাকসিন খুব বেশি দামী হবে না। বরং এটি সাশ্রয়ী হবে। এমনকি এটি একটি আরটিপিসিআর পরীক্ষা বা ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের চেয়েও সস্তা হতে চলেছে। সরকার এই খরচের বেশিরভাগটাই আর্থিকভাবে গ্রহণ করবে। সেই সংক্রান্ত কথাবার্তাও চলছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *