ফের ঊর্ধ্বমুখী দৈনিক সংক্রমণ, চিন্তা বাড়াচ্ছে অ্যাক্টিভ কেস ও পজিটিভিটি রেটও

ফের ঊর্ধ্বমুখী দৈনিক সংক্রমণ, চিন্তা বাড়াচ্ছে অ্যাক্টিভ কেস ও পজিটিভিটি রেটও

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েকদিন ধরে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার পর ফের দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ফের লাগামছাড়া হারে বাড়তে শুরু করেছে। রবি সকালেও জারি থাকল সেই একই ধারা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার দেশে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮২৮, যা আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেশি। শনিবার পর্যন্ত দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৬০০-এর গন্ডিতে। কিন্তু  একদিনে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াইশো বেড়েছে বলে খবর।

অন্যদিকে এদিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও দৈনিক মৃত্যু কিন্তু অনেকটাই কমেছে। গতকাল অর্থাৎ শনিবার কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী যেখানে দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৩, রবিবার সেটাই কমে ১৪ হয়েছে। অর্থাৎ  একদিনে প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে দৈনিক মৃত্যুর হার। অন্যদিকে কত একদিনে দেশে যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ১৩ জনই কেরলের বাসিন্দা, বাকি একজন মৃত  ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে খবর। অন্যদিকে এদিন করোনামুক্ত হয় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০৩৫ জন, যা আগের দিনের থেকে কিছুটা কম।

 

তবে দৈনিক সংক্রমণ এবং দৈনিক মৃত্যুর গ্রাফের হেরফের হলেও চলতি সপ্তাহের প্রথম থেকেই এখনও পর্যন্ত চিকিৎসক মহলের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। চলতি সপ্তাহের প্রথম থেকে কেন্দ্রের রিপোর্ট জানাচ্ছে দেশে আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে করোনার অ্যাক্টিভ কেস। সেই ধারা বজায় থাকল রবিবারও। রবিবার সকালের কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে এই মুহূর্তে মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৭,০৮৭। গত একদিনে যা বেড়েছে  ৭৭৯জন। অন্যদিকে করোনার অ্যাক্টিভ স্কেসের পাশাপাশি করোনার পজিটিভিটি রেটও এদিন অনেকটাই বেড়েছে। কেন্দ্রের হিসাব বলছে রবিবার দেশের পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয়েছে ০.৬০ শতাংশ, যা যথেষ্ট চিন্তার। এই মুহূর্তে দেশের মোট তিনটি রাজ্যে করোনার সংক্রমণ যথেষ্ট ঊর্ধ্বমুখী। সেগুলি হল মহারাষ্ট্র দিল্লি এবং দক্ষিণের রাজ্য কেরল। এই তিন রাজ্যে কত একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৮৭৯,  ৫২৯ এবং ৪৪২। মূলত এই তিনটি রাজ্যের জন্যই দেশের মোট করোনার পরিসংখ্যানে এত হেরফের। ফলে করোনা নিয়ে একটা উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *