নয়াদিল্লি: টানা লকডাউনের জেরে দেশে করোনা সংক্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার হার কমতে শুরু করেছে বলে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল৷ তিনি বলেন, লকডাউন শুরু হওয়ার আগে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণের হার ছিল ৩.৪ দিন৷ এখন তা ৭.৫ দিন হয়েছে৷ দ্বিগুণের হার এর অর্থ হল, কত দিনে সংক্রমণ দ্বিগুণ পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷
১৯ এপ্রিল পর্যন্ত গত সাতদিনের একটি পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব৷ তিনি বলেন, জাতীয় হারের চেয়ে ভারতের ১৮টি রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার হার কম করা গিয়েছে। দিল্লিতে দ্বিগুণের হার এখন ৮.৫ দিন, কর্ণাটকে ৯.২ দিন, তেলঙ্গানায় ৯.৪ দিন, অন্ধ্রপ্রদেশে ১০.৬ দিন, জম্মু-কাশ্মীরে ১১.৫ দিন, পঞ্জাবে ১৩.১ দিন, ছত্তিশগড়ে ১৩.৩ দিন, তামিলনাড়ুতে ১৪ দিন এবং বিহারে ১৬.২ দিন৷ আন্দামান নিকোবরের এই হার আরও ভালো৷ এই দ্বীপপুঞ্জে দ্বিগুণের হার ২০.১ দিন, হরিয়ানায় ২১ দিন, হিমাচলপ্রদেশে ২৪.৫দিন, চণ্ডীগড়ে ২৫.৪ দিন, অসমে ২৫.৮ দিন, উত্তরাখণ্ডে ২৬.৬ দিন, লাদাখে ২৬.৬ দিন৷ আবার ওড়িশা এবং কেরলের মতো কিছু রাজ্যে দেখা গিয়েছে, ৩০ দিনেরও বেশি সময়ে সংক্রমণের হার দ্বিগুণ হচ্ছে।
অন্যদিকে তিনি জানান, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধন ইতিমধ্যেই রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন৷ পাশাপাশি গতকাল জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও ভিডিও বৈঠক করেছেন তিনি৷ ওই বৈঠকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে৷ হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, এই কঠিন মুহূর্তে জি-২০ ভুক্ত প্রতিটি দেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ভারত৷ করোনা প্রতিষেধক তৈরির কাজেও ভারত সকলের পাশে আছে৷
সোমবার থেকে সরকারি দফতরগুলিতেও কাজ শুরু হয়েছে৷ সংক্রমণ রুখতে সরকারি কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ যেখানে বলা হয়েছে, প্রত্যেক কর্মীকে পুনঃব্যবহারযোগ্য কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে৷ কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর সাবান বা জল দিয়ে হাত ধুতে হবে৷ কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে৷ দফতরে নিজেদের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজার রেখে কাজ করতে হবে৷ একসঙ্গে চার-পাঁচজনের জমায়েত করা যাবে না৷
India’s doubling rate before the lockdown was 3.4 days, it has now improved to 7.5 days. As per data on April 19, in 18 states, the rate is better than the national average: Lav Agarwal, Joint Secretary, Health Ministry https://t.co/YC4sZJ4Lk8
— ANI (@ANI) April 20, 2020