নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গত বছর থেকেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। মাঝের কয়েক মাস সংক্রমণের হার কিছুটা কম হলেও এই মুহূর্তে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত দেশ। এই পরিস্থিতিতে একাধিক রাজ্যে আবারো লকডাউন কার্যকরী হয়েছে। সবমিলিয়ে আশঙ্কা, ফের একবার ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংকটের মধ্যে পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে চলতি মাসেই সর্বোচ্চ হতে পারে বেকারত্বের হার।
দেশের একাধিক রাজ্যে আংশিক বা সম্পূর্ণ লকডাউন কার্যকরী হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সেই প্রেক্ষিতে সমস্ত দোকান বন্ধ এবং বন্ধ রয়েছে একাধিক পরিষেবা। অতএব গত বছরের মতো এ বছরও আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে মাঝারি এবং ছোট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রচুর মানুষ এবং তাদের পরিবার। একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, চলতি মাসেই গোটা দেশজুড়ে কমপক্ষে কর্মহীন হতে পারেন ৭০ লক্ষ মানুষ! গত চার মাসের মধ্যে এটাই হবে সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৮ শতাংশ। মে মাসে সেটাই হতে পারে ১০ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ যে দেশের অর্থনীতিকে ভয়ঙ্করভাবে আঘাত করছে তা বলাই বাহুল্য। অর্থনীতির ওপর আঘাত দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হারেও পড়তে পারে।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংস্থা দাবি করেছে যে চলতি বছর ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার কমে যেতে পারে প্রায় ২.৮ শতাংশের কাছাকাছি। এর আগে অনুমান করা হয়েছিল যে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উজ্জীবিত হতে পারে। তবে যে সময় এই অনুমান করা হয়েছিল তখন করোনা ভাইরাসের নাম-গন্ধ ছিল না। তাই এখন ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং জিডিপি বৃদ্ধির হার অনুকূল হবে সেই আশা ছেড়ে দিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ চলতি বছরেই আবার করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন বৈজ্ঞানিক মহল। দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ভারতে আবার করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ আশা মানে বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা।