উত্তরপূর্ব ভারতের নিরিখে ত্রিপুরায় করোনা পরিস্থিতি সব থেকে খারাপ, বলছে পরিসংখ্যান

উত্তরপূর্ব ভারতের নিরিখে ত্রিপুরায় করোনা পরিস্থিতি সব থেকে খারাপ, বলছে পরিসংখ্যান

আগরতলা: ভারতে যখন করোনা সংক্রমণের হার আস্তে আস্তে বাড়ছিল, উত্তর-পূর্ব ভারত একপ্রকার সুরক্ষিত ছিল। সেহারে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। তবে পরিস্থি্তি  অন্য কথা বলছে। মাত্র চার দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে। তবে উত্তর-পূর্ব ভারতে অসম ও ত্রিপুরার অবস্থাই সব থেকে খারাপ।

বেশ কয়েকটা করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার কারণে ত্রিপুরা নিজেদের করোনা মুক্ত বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ভারতের ছোট এই রাজ্যটিতে দ্রুত পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। করোনা মুক্ত ঘোষণার পর, ত্রিপুরাতে এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবানু পাওয়া যায়। ত্রিপুরার এক দম্পতিকে নিয়ে ওই চালক তামিলনাড়ু থেকে ত্রিপুরাতে এসেছিলেন। অ্যাম্বুল্যান্স চালক আদতে শিলিগুড়ির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ২ মে দুই বিএসএফ জওয়ান পজিটিভ প্রমাণিত হলে সেই শিরোপা হারায় ত্রিপুরা। এরপর একদিনে ত্রিপুরায় ১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তারপর থেকে ত্রিপুরাতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩২।

এরপরেই রয়েছে অসম। অসমের করিমগঞ্জ জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়। তারপর থেকেই অসমে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। অসমে সম্প্রতি দুই মহিলা ও তাদের অ্যাম্বুল্যান্স চালকের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা মুম্বই থেকে ফিরেছেন। অসমে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৬৩। তারমধ্যে ৩৪ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছে। দুই জন মারা গিয়েছেন।

অন্য দিকে, মার্চের শেষের দিকে মনিপুর ও মিজোরামে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। কিন্তু তারপরে পরিস্থিতি সেভাবে বদলায়নি। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সেহারে বাড়েনি। সিকিমে এখনও পর্যন্ত একজনেরও শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।নাগাল্যান্ডের একজনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায় অসমে। মেঘালয়ে ১৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসে শনাক্ত করা গিয়েছে। এক জন মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × two =