নয়াদিল্লি: গতবছরের দুঃস্বপ্ন যেন আবার ফিরে আসছে এই বছর। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে এখন অশনিসংকেত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে যে দেশের প্রায় ১৫০ জেলায় পজিটিভিটি রেট ১৫ শতাংশের বেশি! একইসঙ্গে পরিসংখ্যান বলছে, দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ২০ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যদি লকডাউন ঘোষণা হয় তাহলে অবাক হওয়ার মত কিছু থাকবে না।দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ২০ শতাংশের বেশি
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৬০ জন এবং একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৯৩ জনের! এই সঙ্গে দেশের মোট করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা পেরিয়ে গেছে দুই লক্ষ। পরিসংখ্যান বলছে, আট রাজ্য মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, কেরল, রাজস্থান, গুজরাত, ছত্তিসগড় ও তামিলনাড়ুতে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা দেশের ৬৯ শতাংশ। এই রাজ্যগুলির প্রত্যেকটিতেই ১ লক্ষের বেশি অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে মহারাষ্ট্র থেকে। এর পরেই ছিল উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক। এমনকি কেরলের মতো কম জনসংখ্যা বিশিষ্ট রাজ্যেও রেকর্ড সংক্রমণের খবর এসেছে, যা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় মনে করা হচ্ছে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫০ জেলায় লকডাউন কার্যকরী হতে পারে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই।
উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে আমেরিকা, ব্রাজিল এবং মেক্সিকোর পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে আমাদের দেশ, ভারত। দিনপ্রতি সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার ক্রমশ বেড়ে চলেছে দেশে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত দেশের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৪০০-র নিচে ছিল। আর এখন সেই সংখ্যা পৌঁছে যাচ্ছে প্রায় ৪০০০-এ! অবশ্যই এই সংখ্যা আতঙ্ক বাড়াচ্ছে সকলের মনে। তবে এর ঠিক উল্টো দিকে দেখা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই দেশে করোনাভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ। আপাতত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ৯৭ হাজার ২৬৭ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ১ হাজার ১৮৭ জন।