সিজনাল ইনফেকশনের মতোই ঘুরেফিরে আসতে পারে করোনা, দাবি বিজ্ঞানীদের

সিজনাল ইনফেকশনের মতোই ঘুরেফিরে আসতে পারে করোনা, দাবি বিজ্ঞানীদের

নয়াদিল্লি: ভারতে ঢুকে পড়েছে করোনা ভাইরাস। আতঙ্কে দিন কাটছে এই দেশের মানুষের। গোটা বিশ্বেই করোনা ভাইরাসের ভীতি ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে এই ভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যু ৩০০০ ছাড়িয়েছে। এই দ্রুত সংক্রামক ব্যাধির প্রতিষেধক আবিষ্কারে উঠে পড়ে লেগেছেন গবেষকরা। এখনও পর্যন্ত কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। এদিকে বিজ্ঞানীরা যে সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন, তা শুনলে রীতিমতো আঁতকে উঠবেন আপনিও। তাঁদের কথায়, অন্যান্য সিজনাল ইনফেকশনের মতো  করোনা ভাইরাস ঘুরে ফিরে আসতে পারে বছরের অন্য সময়েও।

দ্রুত গতিতে ছড়ালেও এখনও এই ভাইরাস মোকাবিলার কোনও ওষুধের সন্ধান পাননি বিজ্ঞানীরা। ফলে আতঙ্ক দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে আরও খানিক ভীতির সঞ্চার করলেন বিজ্ঞানীরা। সংবাদসূত্রে জানা গেছে, একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস বছরের অন্যান্য সময়েও দেখা দিতে পারে। এমনকী, নিয়ম করে প্রতি বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে দেখা দিতে পারে এই রোগের লক্ষণ। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একাংশের মত, করোনা ভাইরাস আসতে পারে বছরের অন্যান্য সময়েও। অধ্যাপক জন অক্সফোর্ড বলেন, করোনা ভাইরাস পরিবারের অন্যান্যদের দেখলেই বোঝা যাবে সেগুলো রেসপিরেটরি ভাইরাস। যা বিভিন্ন সময়ে দেখা যায়। সেদিক থেকে ভবিষ্যতেও যে করোনার আবির্ভাব ঘটবে না, এই বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যায় না বলেই মত বিজ্ঞানীদের।

করোনা ভাইরাস মোকাবিলার ক্ষেত্রে ভুল তথ্যও ছড়িয়েছে। বিজেপি বিধায়ক বলেছিলেন, গোমূত্রে সারবে করোনা ভাইরাসঘটিত রোগ। সম্প্রতি হিন্দু মহাসভার সভাপতি চক্রপাণি মহারাজ বলেন, 'আমরা গোমূত্র পার্টির আয়োজন করছি। করোনা ভাইরাস কী এবং কীভাবে গরু থেকে প্রাপ্ত জিনিসপত্র খেয়ে এই ভাইরাসের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায়,  সেই বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করা হবে।’ পার্টিতে আসা লোকজনের জন্য থাকবে গোমূত্র খাওয়ানোর ব্যবস্থা। গোবরের কেক বা ঘুঁটে, আগরবাতিও থাকবে ওই পার্টিতে।

এভাবেই করোনা ভাইরাসকে সহজেই মেরে ফেলা যাবে বলেই মনে করেন চক্রপাণি মহারাজ। তবে করোনা আতঙ্ক তাঁর মনে নেই। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, ভারতে অধিকাংশই নিরামিষাশী হওয়ায় করোনা এই দেশে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। করোনার এই প্রকোপের জন্য তিনি দায়ী করেছেন তেলঙ্গনার মন্ত্রীদের। তাঁরা প্রকাশ্যে মুরগির মাংস খেয়েছিলেন বলে পশুরা কেঁদেছিল। 'সাহায্যের জন্য কেঁদেছিল পশুরা'। সেই কান্না পৌঁছেছিল করোনা ভাইরাসের কানে। এর ফলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও পুরো বিষয়টিকে মজা হিসেবেই দেখছেন নেটিজেনদের একাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 5 =