শালিমার: শুক্রবার দেশের অন্যতম ভয়ঙ্কর রেল দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার ৫১ ঘণ্টা পর ওই লাইনে রেল চলাচল শুরু হয়েছিল। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থেকে ফলকনুমা এক্সপ্রেস সহ অন্তত ৪০টির বেশি ট্রেন চলাচল করেছে। কিন্তু বুধবার সকাল পর্যন্ত এই লাইন দিয়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস নিজের যাত্রা নতুন করে শুরু করেনি। তবে এদিনই তা হল। ৫ দিন পর আবার বালেশ্বর লাইন দিয়ে ছুটল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এদিন দুপুর ৩টের কিছু পরেই শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ল এই ট্রেন। ৩টে ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও তা ছাড়তে ৬ মিনিট দেরি হয়।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রেল লাইন সম্পূর্ণ মেরামতের পর এখনও পর্যন্ত যে ৪০টির বেশি ট্রেন চলাচল করেছে এই লাইনে তাদের সকলের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় মাত্র ১০ কিমি। তবে করমণ্ডলের গতি ওই লাইনে কত থাকবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি আজ যারা এই ট্রেনের যাত্রী তাদের মধ্যেও যে চাপা আতঙ্ক থাকবে তা বলাই বাহুল্য। হলফ করে বলা যায়, আজ এই ট্রেনের সকল যাত্রীই শুক্রবারের ঘটনার আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন ট্রেনে উঠেই। কেউই যে খুব নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন ট্রেনে তা নয়। তবে স্বাভাবিক জীবনে যে ফিরতে হবে, এই কথাই মাথায় রাখছেন প্রত্যেকে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্ত শেষ করতে আরও কটা দিন সময় লাগবে? | coromandel express accident” width=”789″>
প্রসঙ্গত, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় প্রায় ১ হাজার ১০০ যাত্রী আহত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে আপাতত ৯০০ জন ছাড়া পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। কিন্তু বাকি যে ২০০ জন রাজ্যের নানা হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন তাদের নিয়েই আশঙ্কা। অনেকেই মারাত্মকভাবে জখম। এদিকে বহু দেহ শনাক্ত করতে পারেনি মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। এর মূল কারণ, দুর্ঘটনার পর অনেকের দেহ বিকৃত হয়েছে।