কুর্নিশ, সংসার সামাল দিতে ক্ষুর হাতে সেলুন সামালাচ্ছে দুই কিশোরী

আজ বিকেল: মন দিয়ে কাজ করলে কোনও কাজই ছোট নয়, সেই কাজের মধ্যে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবই পড়ে। কিন্তু সেলুনে কাজ করবেন মহিলারা এটা যেন কেউই ঠিক মেনে নিতে পারে না। আজকের দিনে পার্লার, স্যাঁলো তে চুটিয়ে কাজ করছেন মহিলারা। হেয়ার ড্রেসার হিসেবে মহিলাদের সাফল্যও কিন্তু হিংসে করার মতো। কিন্তু সেলুনে মহিলা নাহ নৈব

কুর্নিশ, সংসার সামাল দিতে ক্ষুর হাতে সেলুন সামালাচ্ছে দুই কিশোরী

আজ বিকেল: মন দিয়ে কাজ করলে কোনও কাজই ছোট নয়, সেই কাজের মধ্যে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবই পড়ে। কিন্তু সেলুনে কাজ করবেন মহিলারা এটা যেন কেউই ঠিক মেনে নিতে পারে না। আজকের দিনে পার্লার, স্যাঁলো তে চুটিয়ে কাজ করছেন মহিলারা। হেয়ার ড্রেসার হিসেবে মহিলাদের সাফল্যও কিন্তু হিংসে করার মতো। কিন্তু সেলুনে মহিলা নাহ নৈব নৈব চ। তবে সেই ধারণাকেই পাল্টে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের বনওয়ারি টোলা গ্রামের দুই কিশোরী।

বাবার অসুখে বন্ধ হয়েছিল রুজিরুটির একমাত্র সম্বল ছোট্ট সেলুনটাও। কিন্তু দায়িত্ব এড়িয়ে যায়নি ওই প্রৌঢ়ের দুই মেয়ে। দোকানের সব দায়িত্ব নিজেদের কাঁধেই তুলে নিয়েছিল ওই দুই কিশোরী। তবে পুরুষশাসিত সমাজে ‘সেলুন’ চালানোর জন্য ওই দুই কিশোরীকে ভোল বদলে সাজতে হয়েছিল ছেলে। কিন্তু শত সমস্যাতেও কর্তব্যে একটুও ফাঁকি দেয়নি এই দু’জন। বাড়ির খরচ চালানোর পাশাপাশি নিজেদের পড়াশোনার খরচও নিজেরাই জুগিয়েছে দুই বোন নেহা আর জ্যোতি।

সমাজের কাছে আজ নেহা এবং জ্যোতি প্রেরণা। আর তাদের জীবনের গল্পই এ বার নিজেদের বিজ্ঞাপনে নিয়ে এসেছে বিখ্যাত সংস্থা ‘জিলেট’। বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে ছোট ছেলেকে নিয়ে সেলুনে এসেছেন বাবা। আর ওই ব্যক্তির দাড়ি কাটতে হাজির হয়েছে এক তরুণী। মিষ্টি হেসে সে বলছে, “কি কাকু দাড়িটা কেটে দিই?”। একরাশ বিস্ময় নিয়ে তরুণীর দিকে তাকিয়েছে ওই ছোট্ট বাচ্চাটি। বাবাকে জিজ্ঞেস করছে, “মেয়ে হয়ে ক্ষুর চালাবে?” বাবা যেন খানিক থমকে গেলেন। পরক্ষণেই বলে উঠলেন, “ক্ষুর যার হাতে থাকবে সেই চালাতে পারবে। ছেলে হোক বা মেয়ে। ক্ষুর থোড়িই না জানে সে কার হাতে রয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × five =