লখনউ: পশ্চিম উত্তর প্রদেশে ভোট প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগী যখন বিরোধীদের পাকিস্তান এবং সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে মেরুকরণের চেষ্টায় মরিয়া সেই সময়ে সেখানে মহিলাদের উপরে একের পর এক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে। যদিও সেই সব নিয়ে মুখ খোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পাকিস্তান নিয়েই ব্যস্ত।
মিরাটের একটি হাসপাতালে আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন এক মহিলাকে পরপর ধর্ষণ করেছে হাসপাতালের তিন কর্মী। বিনোদ, নিয়াজু এবং সাদাব নামের ওই তিন কর্মী ধর্ষণ করেছে বলে মিরাটের পুলিশ সুপার অখিলেশ নারায়ণ সিং জানিয়েছেন। এক নার্সও প্রধান অভিযুক্তকে ধর্ষণে সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতা রোগী পরে সামান্য সুস্থ হলে পরিবারের লোকদের বিষয়টি জানানোর পরে ঘটনাটি সামনে আসে। এছাড়াও দুটি ধর্ষণকাণ্ডে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে উত্তর প্রদেশে। শামলিতে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ষোলো বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, মুজফ্ফরনগরে পাশবিক অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে বছর পাঁচেকের শিশুকন্যাকেও।
শনিবার শামলি জেলার ভাবিশা গ্রামে রাতে শৌচালয়ে যেতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। তখনই অভিযুক্ত কপিল তাকে জোর করে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। রবিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন ধর্ষিতার বাবা। পুলিশকে নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, বন্দুকের নল ঠেকিয়ে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনা আর জানাজানি করলে আরও অত্যাচার হবে বলেও হুমকি দেয় কপিল। পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকাকে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে অবচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত ‘পলাতক’ বলে পুলিশ জানিয়েছে। পাশের মুজফ্ফরনগর জেলাতেই আরও একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মায়ের সঙ্গে মেলায় বেড়াতে গিয়েছিল পাঁচ বছরের শিশুকন্যা। পুলিশ জানিয়েছে, মেলার একটি মন্দিরের সামনে থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় মেয়েটি। তাকে ধর্ষণ করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিত্যক্ত একটি স্থানে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। শিশুকন্যা হাসপাতালে ভর্তি।