নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত নাজেহাল অবস্থা গোটা দেশের। বিগত দেড় মাস ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন চলেছে। এর পাশাপাশি চার রাজ্যের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সব মিলিয়ে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার গোটা দেশে ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে বিগত কয়েক মাসের মধ্যে। এই প্রেক্ষিতে কংগ্রেস আর কোনরকম নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসলে কংগ্রেস সভাপতি নির্ধারণের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর জানা গিয়েছে, দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়েছে এই নির্বাচন। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে যে এই রকম একটা সময়ে আর কোনো নির্বাচন সংঘটিত করা ঠিক হবে না একেবারেই। সেই কারণেই কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এর আগে জানুয়ারি মাসে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য। সেই সময় মনে করা হয়েছিল যে সভাপতি নির্বাচনের প্রভাব পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পড়তে পারে এবং যা কংগ্রেসের পক্ষে আশঙ্কা তৈরি করবে। তবে সেই নির্বাচন না হওয়ার কোন প্রভাব পড়েনি বিধানসভা নির্বাচন গুলিতে কারণ প্রত্যেকটি রাজ্যের ধরাশায়ী অবস্থা হয়েছে কংগ্রেসের। এখন করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে ফের একবার কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হল।
সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে চূড়ান্ত হতাশা ব্যক্ত করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি কার্যত হতবাক হয়ে গিয়েছেন পাঁচ রাজ্যের কংগ্রেসের পারফরম্যান্স দেখে। অসম, তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরিতে তো কংগ্রেস হেরেছেই, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস শূন্য হয়ে গিয়েছে। যেটা আরো আশঙ্কার বিষয় কংগ্রেসের জন্য। সব মিলিয়ে আদতে কংগ্রেসের সময় খুব খারাপ যাচ্ছে এটা একেবারে স্পষ্ট।