আগরতলা: ইচিমধ্যেই ত্রিপুরা জুড়ে রাজনৈতিক জমি তৈরির কাজে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তাঁদের দাবি, ২৩ এর নির্বাচনে বিজেপি নয়, ত্রিপুরার ক্ষমতা দখল করবে তৃণমূল৷ এরই মাঝে বিরোধী জোট নিয়ে যখন জল্পনা তৈরি হচ্ছে ঠিক তখনই তৃণমূল সম্পর্কে ত্রিপুরা কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার মন্তব্যকে ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
দলে দলে বিরোধী দলের কর্মী, সমর্থকেরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন, এবিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ত্রিপুরা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিরজিৎ সিনহা৷ তীব্র শ্লেষের সুরে বলেছেন, ‘‘বট গাছের আশ্রয় ছেড়ে কেউ বেগুন গাছের আশ্রয়ে যায় না৷’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘ত্রিপুরাতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই৷ গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ রাজ্যের পাঁচটি সংবাদমাধ্যমকে ইতিমধ্যে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে বন্ধ করে দিয়েছে শাসক দল বিজেপি। বিজেপির এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ সরব হচ্ছেন৷ তবে দেরিতে হলেও মানুষ ধীরে ধীরে ফের কংগ্রেসের দিকেই ঝুঁকছে৷’’
তবে ত্রিপুরাতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উপর শাসক দলের ক্রমাগত আক্রমণ, ভয়- ভীতি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং আগামী দিনে শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস নয়, বিরোধী যে কোন দলের উপর আক্রমণ সংঘটিত হলে শক্ত হাতে প্রতিহত করার ঘোষণা করেন বিরজিৎ সিনহা। তাঁর দাবি, ‘‘এরাজ্যে তৃণমূল ছোট্ট দল৷ মানুষ সিপিএমকেও দেখেছে৷ বিজেপিকেও দেখছে৷ আশা রাখি ফের কংগ্রেসেই আস্থা রাখবে ত্রিপুরার মানুষ৷’’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, কংগ্রেস ক্রমশ: ক্ষয়িষ্ণু৷ এহেন পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে যেখানে স্বয়ং সনিয়া গান্ধী পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছেন সেখানে সেই মমতার দল প্রসঙ্গেই কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যকে ঘিরে বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন৷