নয়াদিল্লি: একটি ছাতার নিচে থাকছেন শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! শুধু তাই নয়, পাশাপাশি দেখা যাবে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী সকলকে। এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আসলে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের নেতাজি জন্মজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য এঁরা সকলেই।
তবে নামের তালিকা এখানেই শেষ নয়। উপরিক্ত ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও মোদী সরকারের এই কমিটিতে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় থেকে শুরু করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং থেকে শুরু করে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। একই সঙ্গে চিত্র পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন এই কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। চমকপ্রদ ব্যাপার, নাগাল্যান্ড এবং মণিপুরও কেন্দ্রীয় নজর থেকে বাদ যায়নি। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীরাও শামিল হয়েছেন এই কমিটির সদস্য হিসেবে। সব মিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নেতাজী জন্ম জয়ন্তী উদযাপন কমিটি রাজনৈতিক ভাবে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, একইসঙ্গে সমগ্র ভারতকে এক ছাতার তলায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। অবশ্যই এটি সম্ভব করেছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে বাংলায় আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বিশেষজ্ঞরা অনেক আগেই দাবি করেছিলেন যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনকে হাতিয়ার করতে পারে বিজেপি। বাংলা এবং বাঙালির আবেগকে ধরে রাখতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত বারংবার রাজ্যে আসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের। তাদের মধ্যে অবশ্যই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যে আজ এবং এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।তিনি দাবি করেন, পরিবর্তনের জন্য মনস্থির করে ফেলেছেন রাজ্যের মানুষ। একইসঙ্গে কৃষকদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাবে বিজেপি সরকার এমন দাবি করেন তিনি।