মাস্ক কেন পরেননি? জওয়ানকে শিকলে বেঁধে শাস্তি দিল পুলিশ

মাস্ক কেন পরেননি? জওয়ানকে শিকলে বেঁধে শাস্তি দিল পুলিশ

বেঙ্গালুরু:  লকডাউনের নিয়মবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মাওবাধী বিরোধী কোবরা ইউনিটের এক জওয়ানকে থানায় নিয়ে গিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠল৷ ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেলাগাভীতে৷ 

জানা গিয়েছে, কোবরা বাহিনীর (কমান্ডো ব্যাটেলিয়ন ফর রেসলিউশন অ্যাকশন) জওয়ান শচীন সাওয়ান্ত এই সময় ছুটিতে রয়েছেন৷ ঘটনার দিন বেলাগাভীতে নিজের বাড়ির সামনে রাস্তায় বাইক পরিষ্কার করছিলেন তিনি৷ কিন্তু তাঁর মুখে মাস্ক ছিল না৷ বিষয়টি টহলরত পুলিশের নজরে আসতেই তাঁদের মধ্যে বচসা বাধে৷ শুরু হয় হাতাহাতি৷ এর পরই শচীনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়৷ অভিযোগ তাঁকে মারধরও করে পুলিশ৷ শিকল দিয়ে বেঁধে মাটিতেই বসিয়ে রাখা হয় ওই জওয়ানকে৷ এই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে কর্ণাটক পুলিশ৷ এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই কর্ণাটক পুলিশ প্রধান প্রবীণ সুদের কাছে চিঠি পাঠায় সিআরপিএফ৷  সেখানে বলা হয়েছে, “অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো যেত৷’’ 

সিআরপিএফ এর এক শীর্ষ কর্তা জানান, “পুলিশের এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে পাল্টা এফআইআর করার চিন্তাভাবনা করছে সিআরপিএফ৷’’ পুলিশ প্রধানকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে,  ‘‘ওই কম্যান্ডোকে হেনস্থা করা হয়েছে৷ তাঁর সঙ্গে, খারাপ আচরণ করে, খালি পায়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ হ্যান্ডকাফ ও চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে৷’’পাল্টা চিঠিতে পুলিশের অভিযোগ, ‘‘টহলরত কনস্টেবলদের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন শচীন সাওয়ান্ত৷ মাস্ক প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বলেন, ‘‘আমিও একজন সিআরপিএফ পুলিশ৷ আপনারা আমাকে নির্দেশ দিতে পারেন না৷ আমি আপনাদের নিয়ম মানব না৷’’ পুলিশ আরও জানায়, ওই জওয়ানকে অনুরোধ করা হলেও, তিনি ওই দুই কনস্টেবলের উপর হাত তোলেন৷ অন ডিউটি থাকা পুলিশের কাজে বাধা দেন৷ এর পরই তাঁকে গ্রেফতার করে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়৷ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছে।

সিআরপিএফ মুখপাত্র মসেস দিনাকরণ পিটিআইকে বলেন, “আমরা বিষয়টি নিয়ে কর্নাটক রাজ্য পুলিশের প্রধানের সঙ্গে কথা বলছি। মঙ্গলবার আদালতে শচীন সওয়ান্তের জামিনের আবেদন করা হবে৷  সিআরপিএফের স্থানীয় আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। আইনি মীমাংসায় মামলার তদন্ত করা হবে৷’’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *