আসছে NRC সংক্রান্ত নীতি-নির্দেশিকা! বিজ্ঞাপনে ইঙ্গিত কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি ও কলকাতা: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে জ্বলছে গোটা দেশ৷ বিদ্রোহ বাংলায়৷ হিংসা, অশান্তি, আন্দোলনের জেরে তপ্ত দেশের রাজনীতি৷ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যের তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাংলায় কার্যকর হবে না৷ হবে এনআরসি৷ এবার একধাপ এগিয়ে কেন্দ্র সরকারের তরফে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি

আসছে NRC সংক্রান্ত নীতি-নির্দেশিকা! বিজ্ঞাপনে ইঙ্গিত কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি ও কলকাতা: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে জ্বলছে গোটা দেশ৷ বিদ্রোহ বাংলায়৷ হিংসা, অশান্তি, আন্দোলনের জেরে তপ্ত দেশের রাজনীতি৷ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যের তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাংলায় কার্যকর হবে না৷ হবে এনআরসি৷ এবার একধাপ এগিয়ে কেন্দ্র সরকারের তরফে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি নিয়ে দেওয়া হল নয় বিজ্ঞাপন৷ এনআরসি সংক্রান্ত ঘোষণা এখনও না হলেও অদূর ভবিষ্যতে এনআরসি বিষয়ে নীতি নির্দেশিকা প্রকাশ হবে বলেও বিজ্ঞাপনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে৷ একই সঙ্গে নাগরিক আইন প্রসঙ্গেও বিভ্রান্ত না হওয়াও বার্তা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে৷

ব্যুরো অফ আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বা ডিএভিপি কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে মুদ্রণ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে থাকে৷ সেই ডিএভিপি বাংলার বিভিন্ন সংবাদপত্রের পাতায় ফলাও করে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত হবেন না৷ প্রচুর ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে যা কোনভাবেই সত্য নয়৷’’ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিষয়ে কিছু তথ্য বিজ্ঞাপনে তুলে ধরা হয়েছে৷

আসছে NRC সংক্রান্ত নীতি-নির্দেশিকা! বিজ্ঞাপনে ইঙ্গিত কেন্দ্রের

বিজ্ঞাপনে ‘ভুল তথ্য’ হিসেবে বলা হয়েছে, ‘‘সিএএ-এর মাধ্যমে ভারতীয় মুসলমানদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে৷ ভারতীয় মুসলমানরা সিএএ-এর বাইরে থাকবেন৷ নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র জোগাড় করতে হবে৷ নয়তো দেশ থেকে বিতাড়িত হতে হবে৷’’

আসছে NRC সংক্রান্ত নীতি-নির্দেশিকা! বিজ্ঞাপনে ইঙ্গিত কেন্দ্রের

‘প্রকৃত তথ্য’ হিসাবে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘সিএএ-এর ফলে ভারতের কোন ধর্মের নাগরিকের কোন সমস্যা হবে না৷ এই আইনের মাধ্যমে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার যেসব সংখ্যালঘু মানুষ ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতে বসবাস করছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে৷ এর মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না৷ ভুল: সিএএ পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান এই তিন দেশের সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রযোজ্য৷ এর ফলে মুসলমানসহ দেশের অন্য কোন ধর্মের মানুষের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই৷ তাই ভারতীয় মুসলমানদের সমস্যায় পড়ার কোন প্রশ্ন ওঠে না৷ ভুল: দেশজুড়ে কোন ভারতীয় নাগরিকপুঞ্জি (এনআরসি) সংক্রান্ত ঘোষণা হয়নি৷ যখন এটি ঘোষিত হবে, তখন এই সংক্রান্ত নীতি নির্দেশিকা এমনভাবে তৈরি করা হবে, যাতে ভারতের কোন প্রকৃত নাগরিক কখনও হেনস্তার শিকার না হন৷’’ আরও বলা হয়েছে বিজ্ঞাপনে, ‘‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ফলে ধর্ম ও অঞ্চল নির্বিশেষে কোন ভারতীয় নাগরিক সমস্যার সম্মুখীন হবেন না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − eight =