আস্থাভোটের আগেই ইস্তফা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের আসতেই ঘোষণা

আস্থাভোটের আগেই ইস্তফা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের আসতেই ঘোষণা

মুম্বই: একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহে বেশ কিছু দিন ধরেই টলমল করছিল উদ্ধব ঠাকরের গদি৷ আস্থা ভোটের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন বিদ্রোহীরা৷ বুধবার রাত তখন ৯টা৷ সুপ্রিম কোর্ট আস্থা ভোটের নির্দেশ দেয়৷ সেই নির্দেশ মেনে রাজ্যপাল ভগৎ সিং বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে বিধানসভায় আস্থা ভোট সম্পন্ন করতেন৷ কিন্তু, তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে৷ ভেঙে গেল ৩১ মাসের ‘মহাবিকাশ আঘাডী’ জোট (শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস) সরকার৷ শিবসেনা প্রধানের ইস্তফার সঙ্গে সঙ্গে ইতি পড়ল টানা ১০ দিনের ‘রাজনৈতিক নাটকে’র৷ 

আরও পড়ুন- মজাচ্ছলে জ্যান্ত মাছ গিলল যুবক, ওঝার ‘ডাক্তারিতে’ গেল প্রাণ 

বুধবার রাতে রাজ্যপালের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল শিবসেনা৷ সেই আবেদনের উপর দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা শুনানির পর শাসক দলের আবেদন নাকচ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যপাল নির্দেশিত নির্ঘণ্ট মেনেই আস্থাভোট গ্রহণের নির্দেশ দেয় বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জেবি পাড়িয়ালার বেঞ্চ৷ এর পরেই ‘ফেসবুক লাইভ’-এ এসে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন উদ্ধব ঠাকরে। মুখ্যমন্ত্রিত্বের পাশাপাশি তিনি বিধান পরিষদের সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়ে দেন৷ 

উদ্ধব যখন ফেসবুক লাইভ করছেন, তখন রাজ্যের এক মন্ত্রী তাঁর প্রতিনিধি হয়ে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল কোশিয়ারির কাছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের কথা জানান বলে শিবসেনা সূত্রের খবর। ফেসবুক লাইভের বেশ কিছু ক্ষণ পর উদ্ধব নিয়ে ‘মাতোশ্রী’ থেকে গাড়ি চালিয়ে বেরন এবং রাজভবনে পৌঁছন। আগামীতে কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোটের ইঙ্গিত দিয়েই উদ্ধব বলেন, ‘‘যাঁরা কাছে ছিল তাঁরা এখন অনেক দূরে। যাঁরা দূরে ছিলেন, তাঁরা এখন আমাদের অনেক কাছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা ঘোষণা করার পর উদ্ধব বলেন, ‘‘আমার কোনও আক্ষেপ নেই। আমার কাছে শিবসেনা রয়েছে। শিবসৈনিকেরা রয়েছেন।’’