নয়াদিল্লি: উৎসবের মরশুম প্রায় কাটতেই আবার পিক ফর্মে ফিরেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। কোভিড-১৯ এর মোকাবিলা এবং টিকার সরবরাহ করা নিয়ে আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেই বৈঠকে যোগ দেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা সংক্রমণের বিচারে যে সমস্ত রাজ্যগুলির বিপজজ্জনক বা খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে, মূলত তাদের নিয়েই এই বৈঠক। এখানেই আপত্তি রয়েছে বাংলার প্রশাসনিক কর্তাদের। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যে নতুন তরে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার কমছে, ফলে কেন তারপরেও পশ্চিমবঙ্গকে করোনা সংক্রমণের বিচারে খারাপ রাজ্যের তালিকায় ফেলা হল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরা হতে পারে রাজ্যের তরফে।
মঙ্গলবার বাঁকুড়া সফরের কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকের কারণে, রবিবারই বাঁকুড়া পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। আজ বাঁকুড়ার খাতরায় প্রশানিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী । আগামিকাল সকাল ১০টায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকে। মূলত দুটি পর্যায়ে বৈঠকটি হবে, প্রথম পর্যায়ে করোনার সংক্রমণের বিচারে খারাপ অবস্থায় থাকা রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে হবে টিকা নিয়ে বৈঠক। এই পর্যায়ে করোনার টিকা মজুদ, বণ্টন ইত্যাদি নিয়ে বৈঠক করা হবে।
বর্ষীয়ান আমলা এবং আধিকারিকরা মনে করছেন, করোনার টিকা বাজারে আসার আগে রাজ্যগুলির প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা জেনে নিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে কেন্দ্রের পরিকল্পনাও রাজ্যগুলিকে জানাবেন তিনি। রাজ্যের দাবি করোনার টিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি পর্ব সারা হয়ে গিয়েছে, মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে সর্বোচ্চ পর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে, একইসঙ্গে জেলা ও রাজ্যস্তুরে পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বাধীনভাবে টিকা সংক্রান্ত কাজ করবে কমিটিগুলি। এছাড়াও টিকা মজুদের জন্য “কোল্ড চেন” তৈরির প্রস্তুতিও সারা হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে নবান্ন। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এবং কীভাবে টিকা মজুদ করা হবে এবং কীভাবে তা সরবরাহ করা হবে তা নিয়ে পরিকল্পনাও সারা হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও টিকা প্রাপকদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়ে গিয়েছে বলে দাবি রাজ্য প্রশাসনের।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছে, প্রথমে করোনা-যোদ্ধাদের (স্বাস্থ্যকর্মী সহ অন্যান্য) টিকা দেওয়া হবে, তারপর ধাপে ধাপে জেলা, ব্লকস্তুরে টিকাকরণ করা হবে। তবে সেকথা মাথায় রেখে আগেই জেলাস্তর থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়ে গিয়েছে বলে দাবি রাজ্য প্রশাসনের। কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেত মেলেই সেই মতো কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।