ধীরে ধীরে উঠছে কার্ফু, বহু মৃত্যুর পর স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টায় মণিপুর

ইম্ফল: শেষ কয়েক সপ্তাহে দফায় দফায় অশান্ত হয়েছে মণিপুর।মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলেছিল। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৩০০-রও বেশি। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আবার মণিপুর শান্ত হওয়ার পথে। যে সব অঞ্চলে কার্ফু জারি ছিল তার মধ্যে বেশিরভাগ অঞ্চল থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছে। এক কথায়, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য সফরে করে এসেছেন। তিনি মণিপুরে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, মণিপুর ভাগ হতে দেবেন না তিনি। আর জঙ্গিরা যদি অস্ত্র ত্যাগ না করে তাহলে আগামী দিনে ফল যে ভয়ানক হবে তাদের জন্য। সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, মন্ত্রীর কড়া বার্তায় কাজ হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকেই হিংসার ঘটনা কমে আসার খবর মিলছে। তবে পরিস্থিতি একদম স্বাভাবিক হতে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, মণিপুর হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করছে সরকার। আর সেই কমিটির প্রধান হতে চলেছেন এক অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। এছাড়াও মণিপুরের রাজ্যপাল শান্তি কমিটির প্রধান হিসাবে থাকবেন।
এদিকে সম্প্রতি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম বিস্ফোরক দাবি করে জানিয়েছে, অন্তত ৪ হাজার অস্ত্রের কোনও খোঁজ মিলছে না রাজ্যে। মনে করা হচ্ছে, মণিপুরে অশান্তি চলাকালীন রাজ্যের বিভিন্ন গুদাম, বিভিন্ন বাহিনীর অস্ত্রশালা থেকে দেদারে অস্ত্র লুট হয়েছে এবং তা রাজ্যের সীমান্ত পেরিয়ে মায়ানমারে জঙ্গিগোষ্ঠীদের হাতে চলে গিয়েছে।