কানপুর: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে কানপুরে বিক্ষোভ মিছিলে চলল পুলিশের গুলি৷ গুলিতে আহত ৮ বিক্ষোভকারী৷ মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের৷ আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনায় মৃত্যু হয় এক বিক্ষোভকারীর৷ সিএএ’র বিরোধিতায় শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে উত্তর প্রদেশ৷ রাজ্যের ১২টি জেলায় ১৪৪ধারা অমান্য করে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হয়৷ রাজ্য ২০টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে৷
যে শহরগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রতিবাদ বিক্ষোভের ঝড় আঁচড়ে পড়েছে তার মধ্যে প্রথমেই দিল্লি৷ দিল্লিতে ১৬টি মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে৷ দিল্লির জামিয়া,জামা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল৷ বিকেলে ফের ইন্ডিয়া গেটের কাছে বিক্ষোভকারীরা জমায়েত হলে তাদের হঠাতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ৷ এরপর বিক্ষোভকারীরা পাথর বৃষ্টি শুরু করলে লাঠি চার্জ করতে হয় পুলিশকে৷ পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী৷
এছাড়াও বুলন্দশহরে একটি পুলিশ জিপে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়ায় গাজিয়াবাদ, ফিরোজা বাদ,সাহারনপুর,সম্বল, বুলন্দশহর, সীলমপুর,দরিয়াগঞ্জ, গোরখপুর, মেরঠ, বিজনৌর, আমরোহার মত শহরগুলিতে৷ বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে৷ কিছু জায়গায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে৷ অন্যদিকে বিহারেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি হবেনা বলে শুক্রবারই জানিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার৷
অর্থাৎ এন আর সি বিরোধিতায় তালিকায় ভারতের আরও এক রাজ্য৷ এদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে এবার পাল্টা পদক্ষেপ কেন্দ্র সরকার৷ এই আইনের বিরুদ্ধে যারা তাদের কাছ থেকেই এবার সমাধান সূত্র চাইল কেন্দ্র৷ এ বিষয়ে বিরোধীদের পরামর্শ শুনতে রাজি আছে বলে এদিনই জানিয়েছে কেন্দ্র৷ অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি গুজরাট, মহারাষ্ট্রেও প্রতিবাদ মিছিল হয়৷ এদিন প্রতিবাদ মিছিলে অংশ৷